গাংনীর ষোলটাকা ইউনিয়নে চাল নিয়ে চালবাজী

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলাটাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভ্যানভর্তি সরকারি ভিজিডির চাউল আটক করেছে স্থানীয় জনতা। চাউল আত্মসাতের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। তবে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের দাবী, করোনাকালীণ সময়ে কার্ডধারীদের বাড়ি বাড়ি চাউল পৌছানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় ৪০ বস্তা ভিজিডির চাউল ভ্যানে করে চৌকিদাররা নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় কয়েকজনের সন্দেহ হলে ভ্যানসহ চাল আটকে দেয়া হয়। স্থানীয়দের দাবী ইউপি চেয়ারম্যান কোনো রকম সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই চাউল নিয়ে যাচ্ছেন। চৌকিদাররা জানান, চেয়ারম্যানের আদেশ পেয়ে তারা চাল নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌছে দিবেন। এটা নিয়ম বহির্ভূত বলে দাবী স্থানীয়দের।

কয়েকজন কার্ডধারী জানান, পরপর দুদিন তারা চাউল নিতে পরিষদে আসলেও দেয়া হয়নি। এবছর যে চাঊল দেয়া হচ্ছে তা খাবার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ তাদের। খাদ্যগুদামে পচা চাউল দিয়েছেন ,তা পরিবর্তন করা না হলে এ চাউল খেয়ে মানুষ অসুস্থ্য হতে পারে বলে জানান উপকারভোগীরা।

ঘটনা স্থলের প্রত্যক্ষর্শী আনোয়ার পাশা জানান, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এ শ্লোগান সংবলিত বেশ কিছু বস্তা ভ্যানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা তা আটকিয়ে দেন। পরে আমি এখানে এসে দেখি ভরত নামের এক গ্রামপুলিশ ভ্যান ভর্তি করে চাউল নিয়ে যাওয়ার সময় তা আটকিয়ে রাখা হয়। অসৎ কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রশাসনের ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।

বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি মেম্বর আব্দুল গনি জানান, চাউল নিম্নমানের হওয়ায় তা পরিবর্তনের জন্য খাদ্য অফিসার ও ইউএনও স্যারকে জানিয়ে ফেরত দেয়া হয়। পরে চাউল নিয়ে এসে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে আজকের চাউল বিতরনের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে কিছুই জানায়নি। তাছাড়া উপকারভোগীদের নামের তালিকায় কোনে স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। চেয়ারম্যান তার মনগড়া কাজ করে চলেছেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জানান, পরপর দুদিন লোকজন ফেরত গিয়েছে। করোনার রসময় লেঅকজনকে হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা করতে চৌকিদারের মাধ্যমে তালিকা অনুযায়ি বাড়ি বাড়ি চাউল পৌছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদি কেউ চাউল না পান তাহলে অভিযোগ করতে পারেন। চাউল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে যাতে হয় সেজন্য চৌকিদার নিয়োগ করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন,বিষয়টি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান আমাকে জানিয়েছিলেন। তিনি কার্ডধারীদের বাড়িবাড়ি গিয়ে চৌকিদারদের দিয়ে চাউল পৌচ্ছে দিচ্ছেন এতে মানুষ একটু বেশিই সুবিধা পাবেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।