গাংনীর সাহেব নগরে ছহির উদ্দীন হত্যা মামলায় এক আসামী গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের গোরস্থান কেয়ারটোকার চাঞ্চল্যকর ছহির উদ্দীন হত্যা মামলায় ইনদাদুল হক (৬২) নামে আরো এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন)। সে ওই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। আজ রোববার সকালে পিবিআই কুষ্টিয়ার একটি টীম অভিযান চালিয়ে ইন্দাদুল হক ওরফে ইন্দাকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, বৃদ্ধ ছহির উদ্দীন (৮৫) সাহেবনগর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে ওই গ্রামের বাসিন্দা। সামাজিক দায়িত্বে তিনি মাদ্রাসা, গোরস্থান ও ঈদগাহের দেখভালের কাজ করতেন। একই সঙ্গে মাদ্রাসার পাশের মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। গেল বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সকালে গোরস্থানের পাশে কাজ করছিলেন বৃদ্ধ ছহির উদ্দীন। এসময় মুখে কালো মুখোশপরা দুই জন দুর্বৃত্ত ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

গাংনী থানা পুলিশ দির্ঘদিন তদন্ত শেষে মামলাটি গত ১৫/১১/২০২০ তারিখে পিবিআইকে হস্তান্তর করে।
পিবিআই এর এসআই শরিফুল ইসলাম মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। গোপন তদন্তে শুকুর আলীর ছেলে খোকন( ৩৭) এ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রমাণ পেয়ে গত ১১ এপ্রিল তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্দাদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, ছহির উদ্দীন মাদ্রাসা, গোরস্থান ও ঈদগাহের দেখভালের কাজ করতেন। একই সঙ্গে মাদ্রাসার পাশের মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। তাছাড়া তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। তিনি জিবীত থাকাবস্থায় কেউ নতুন করে সেখানে নিয়োগ পাবেন না আবার ওই প্রতিষ্ঠানের অর্থ অপচয় করতে পারতেন না। ইন্দাদুল হক ওই প্রতিষ্ঠানের আম বাগান লীজ নিতে চেয়েছিলেন। ছহির উদ্দীনের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এতেই রাগান্বিত হয়ে তাকে খুন করা হয়েছে। এমনই তথ্য জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত ইন্দাদুল হক।