গাংনী উপজেলা ব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে ছোট খাটো সংঘর্ষ

গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পারিবারিক কলহ, জমি সংক্রান্ত বিরোধ, মামলা মকদ্দোমাসহ নানা কারনে ছোট খটো সংর্ঘষ ছড়িয়ে পড়েছে।

একদিনে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ঠ ছোট খাটো ১৩ টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেউ কেউ ভর্তি হয়েছেন। আবার কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ এ সূত্র নিশ্চিত করেছেন। ২৮ আগষ্ট রবিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের রুহুল আমীনের স্ত্রী পারভীনা খাতুন (৪০), শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হানুফা খাতুন (৫০), ছেলে ফিরোজ আহম্মেদ (২৫), সহড়াতলা গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), মালশাদহ গ্রামের মেহেরুল্লাহর ছেলে মোশাররফ হোসেন (১৫), মাইলমারী গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪০), চৌগাছা গ্রামের মুরাদ আলীর স্ত্রী রেকছোনা খাতুন (৪০), হেমায়েতপুর গ্রামের সজীব হোসেনের স্ত্রী সালমা খাতুন (২০), রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের চাঁদ আলীর স্ত্রী কাবি খাতুন (৬০), বানিয়াপুকুর গ্রামের আব্দুল হান্নান (৮৫) ও তার ছেলে মহিবুল ইসলাম (৩৫), গোপালনগর গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন (৩৫), কাজিপুর গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে লিটন হোসেন (৪৫) ও ভাটপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে শাকিল হোসেন (২৩)।

আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রাইহান বলেন, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও লাঠিশোঠা দিয়ে মারের আঘাত রয়েছে।

উন্নয়ন কর্মী ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনী এরিয়া অফিসের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দীন বলেন, নৈতিকতার দিকে মানুষ এখন দিন দিন নিগামী হচ্ছে। ছোট খাটো বিষয় নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হচ্ছেন। একে অপরের রক্ত ঝরাচ্ছেন। এটা সামাজিক অবক্ষয়ের একটি দিক বলেছেন তিনি। এটা থেকে উত্তরণ পেতে সবাইকে প্রত্যেকের প্রতি প্রত্যেককে শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল হতে হবে। এছাড়া প্রশাসনিকভাবেও খারাপ মানুষের উপর আইনের প্রয়োগ করতে হবে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তুচ্ছ ঘটনা, জমি সংক্রান্ত বিরোধ পূর্ব শত্রতাসহ নানা বিধ কারনে এ উপজেলার মানুষ জন ছোট খাটো সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। এখানে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। সব যায়গায় আইন প্রয়োগ করে তো সামাজিক শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। সমাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।