গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন গাংনী আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন। আজ বুধবার দুপুরে তিনি সরেজমিনে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে যান।

জানা গেছে, বছর পাচেক আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়লে নতুন ভবনের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। তার পরও স্থান সাংকুলান না হওয়ায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম ভবনটিতে চলতে থাকে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী (হীড) পুরাতন ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে পুরাতন ভবন সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেয় ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১১ টাকা। কাজ শুরু হয় ২৯ এপ্রিল। নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার দৌলতপুরের রাজীব মোর্টস সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করছে।

নিয়মানুযায়ি এ গ্রেডের টাইল্স, ফ্রেশ সিমেন্ট ও ১.৫ এফএম বালু ব্যবহার করতে হবে দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ উপেক্ষা করে সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের এসব সামগ্রী। তাছাড়া বালু ও সিমেন্টের সংমিশ্রণ সঠিক মাত্রায় করা হচ্ছে না। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন পরিদর্শন করেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান এমপি। পরিদর্শনের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আহম্মেদ রায়হান শরীফ ও হাসপাতালের অন্যান্যা কর্মকর্তাবৃন্দ। তবে কাজের সাইডে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক দিয়ে ইচ্ছেমত সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদারকির কেউ উপস্থিত না থাকায় নিম্নমানের এসব সামগ্রী ব্যবহার করছে খুব সহজেই।

ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেনি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারি প্রকৌশলী হাসান আল মামুনের মোবাইলে কল দিয়ে অনিয়মের বিষয়টি জানতে চান সাংবাদিকরা। কাজের প্রাক্কলিত ব্যায়সহ দরপত্রের কোন তথ্য নেই বলে কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। পরে তিনি জানান, কাজে অনিয়ম হচেছনা যদি অনিয়ম হয় তবে এমপি সাহেবের সাথে বলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহাকারি প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে আছি পরে কথা হবে।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, এমপি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে আসছে। বালু, টাইলস থেকে শুরু করে প্রায় সব উপকরণ নিম্নমানের। নিম্নমানের সাগ্রমী কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না। তাই এ অনিয়মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বশীল দপ্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।