
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের মিটার রিডার ও বিল প্রস্তুতকারী বিলিং অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিরুদ্ধে ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহকরা। হঠাৎ বিল বেশি এলেও গ্রাহকদের অভিযোগ করার জায়গা নেই।
এতে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা পড়ছেন নানা বিড়ম্বনায়। তবে কর্মকর্তা বলছেন, বিল বেশি হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আবাসিক মিটার ব্যবহারকারীর অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসের বিল ১ হাজার ৩৬ টাকা, জুলাই মাসের বিল ১ হাজার ২৭৬ টাকা হলেও বর্তমান আগস্ট মাসের ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল এসেছে ৩০ হাজার ৬৮৪ টাকা। যা দৃশ্যত প্রস্তুতকৃত বিলে চরম গরমিল ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভূতুড়ে বিলের এমন ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার রায়পুর গ্রামের গ্রাহক শ্রী মদু দাসের ছেলে শ্রী সন্নাসী দাসের ক্ষেত্রে। যার মিটার নং: ০০১০৩৮৩০। সন্নাসী দাস জানান, আমি একজন দিনমজুর। দীর্ঘদিন যাবৎ গাংনী জোনাল অফিসের আওতায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছি।
বিগত বছর ও মাসগুলোতে কখনও ভূতুড়ে বিল আসেনি। প্রতি মাসেই গড়ে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা বিল করা হয়ে থাকে। চলতি আগস্ট মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি বিল দেখে আমি হতবাক। এখন এত টাকা আমি কীভাবে পরিশোধ করব?
তিনি স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন, মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল ঠিক আছে। আপনি একবারে দিতে না পারলে মাসে মাসে দিয়ে পরিশোধ করবেন।
শুধু সন্নাসী দাস নয়, এমন ভূতুড়ে বিলের অভিযোগ অনেকের। বিষয়টি ভোক্তা অধিদপ্তরকে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের ডিজিএম বিজয় কুন্ড জানান, যদি মিটার রিডিংয়ে গরমিল থেকে থাকে, তদন্ত করে বিলের সমন্বয় করা হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, এমন ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি কোনো গ্রাহক অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।