গাংনী লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৭৪ জনের জরিমানা

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তৃতীয় ধাপের লকডাউন বাস্তবায়নে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন গাংনী উপজেলা প্রশাসন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ,র‌্যাব,পলিশ,বিজিবি,আনসার সদস্যদের সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম । আবার কোনো কোনো সময় তারই নের্তৃত্বে গাংনী উপজেলান বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আলম। উপজেলার পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাটবাজার,গ্রামের চায়ের দোকানেও হানা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারি দল। এ অভিযানে আইন ভঙ্গের অপরাধে কাউকে দেয়া হয়েছে অর্থদন্ড এবং কাউকে দেয়া হয়েছে হুশিয়ারী। নিজেকে বাঁচিয়ে রেখে অন্যকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা ছিল উপজেলা প্রশাসনের। লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশানের ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়।

জানা গেছে, দেশে সরকার ঘোষিত ঠোর লকডাউন শুরু হয় ২৩ জুন ২০২১ তারিখ থেকে। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় তিন বার সাত দিন করে বৃদ্ধি করা হয়। কঠেঅর লকডাউনের মোট কার্যদিবস ছিল ২১ দিন। ২১ দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে উপজেলায় মোট ভ্রাম্যমাণ আদালত এর সংখ্যা ০১/০৬/২১ হইতে ২৯/০৬/২১ তারিখ পর্যন্ত আইন ভঙ্গের অপরাধে ৯৬ টি মামলা হয়েছে। এদের বিভিন্ন ভাবে অর্থ দন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৯৬ টি মামলায় জরিমানা করা হয় ৪৭ হাজার ৭০০ টাকা।

এছাড়াও ১লা জুলই ২০২১ হইতে ৩০ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ৭৮ জনকে অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়। ৭৮ জন ব্যাক্তিকে অর্থ দন্ডের মাধ্যমে আদায় করা হয় ৪০ হাজার ৬০০ টাকা। দন্ডবিধি ১৮০ এর ২৬৯ম ধারায় সকলকে অর্থ দন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসকল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল আলম ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ম্যেসুমী খানম।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম বলেন, মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি,দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টায় ছিল আমাদের মুল উদ্দেশ্য। যারা একেবারেই আইন কিংবা সরকারি বিধি নিষেধকে মানতে চাইনি তাদেরকেই কেবল মাত্র মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে সতর্কতামুলক জরিমানা করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের আগমন বা উপস্থিতি টের পেয়ে মানুষ দোকাপাট ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। আমাদের অভিযান সফল বলে মনে করেছি তখনই,যখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরে ঘরের বাইরে প্রয়োজনে বেরিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,র‌্যাব,পুলিশ,বিজিবি ও আনসারদের আমরা যখন ডেকেছি তারাও আমাদের কাজে যথা সময়ে সাড়া দিয়েছে। শর্তসাপেক্ষে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। শর্তভঙ্গ করলে তাদের বিরদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।