গাংনী সাহারবাটিতে ৭৩ জনের মধ্যে ২৮ জনই চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডের

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী তালিকার ৭৩ জনের মধ্যে চেয়ারম্যানের নিজ ওয়ার্ড থেকে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২৮ জন। যারা চেয়ারম্যানের আত্মীয় বলে অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা।
সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে তালিকা প্রস্তুত করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন। ওই তালিকা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন ইউপি সদস্যরা। আবেদনের একটি অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও দেওয়া হয়েছে।
প্যানেল চেয়ারমান নিজাম উদ্দীন স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক পরিষদের কোন সদস্যর সাথে সমন্বয় না করে তিনি নিজের খেয়াল খুশিমত খাদ্যবান্ধব কর্মসৃচি প্রকল্পের জন ৭৩ জনের নামের তালিকা করে জমা দিয়েছেন। যেখানে তাঁর নিজের ৮নং ওয়াডে ২৮ জনের তালিকার অধিকাংশই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁর আত্মীয়। এর আগেও চেয়ারম্যান পরিষদের ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা না করে অনেক সিন্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ০৫ আগস্ট তারিখে আমরা একটি অভিযোগ দিতে চাইলে চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে অঙ্গীর করেন ,পরবর্তীতে সকল সিদ্ধান্ত তিনি সকল ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা করে গ্রহন করবেন। কিন্ত এর পরেও কারও সাথে আলোচনার প্রয়োজনবোধ মনে করেন নাই।তিনি পূর্ববর্তী সময়ে এমন কাজ কয়েকবার করেছেন। আগামী সপ্তাহে খাদ্য বিতরণ শুরু হবে। এমতাবস্থায় উক্ত তালিকাটি যাচাই বাছাই করার পর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ভাবে খাদ্যবান্ধব কর্মসৃচিতে ৭৩জন সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করেছে চেয়ারম্যান নিজে। যার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর থেকে ২ জন, ২ নম্বর থেকে ৪ জন, ৩ নম্বর থেকে ৪ জন, ৪ নম্বর থেকে ৩জন, ৫ নম্বর থেকে ৪ জন, ৬ নম্বর থেকে ৭ জন, ৭ নম্বর থেকে ১৪ জন, ৮ নম্বর থেকে ২৮ জন এবং ৯ নম্বর থেকে ৯ জন করে মোট ৭৩ জনের তালিকা করা হয়েছে।
ওয়ার্ডে মাত্র ২৪ জন সুবিধাভোগীদের তালিকা করা হয়েছে। বাকিগুলো চেয়ারম্যান কারোর সাথে সমন্বয় না করে তাঁর নিজের ৮নং ওয়ার্ডে ২৮ জন, পাশের দুটি ওয়ার্ড থেকে ২১ জনের তালিকা করেছেন। তালিকা তদন্ত করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি করেছেন সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, আমার ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি ভোটার। সেই হিসেবে আমার ওয়ার্ড থেকে তালিকায় বেশি নাম দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে আমি জানি কোন ওয়ার্ডে কতজন দুস্থ রয়েছেন। ৮নম্বর ওয়ার্ডে দুস্থ বেশি রয়েছে। আর তালিকা সব সদস্যর সাথেই নেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।