গ্রামে গ্রামে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সময় দিচ্ছেন শিক্ষকরা

করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের পৃথক পৃথক টীম গ্রামে গ্রামে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনার খোঁজ নিচ্ছেন ও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে মতামত দিচ্ছেন। শিক্ষকদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।

শনিবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্কাছ আলীর নেত্বৃতে ঢেপা গ্রামের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পড়াশোনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসময় সিনিয়র শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মি. প্রভুদান সরকার, সিনিয়র শিক্ষক মজনুর রহমান, সহকারি শিক্ষক সাধন কুমার মন্ডল ও সহকারী শিক্ষক আবু ছালের একটি দল সেখানে উপস্থিত ছিলেন ।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীরা কে কী করছে এবং বিদ্যালয়ের এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে কী করণীয় সে ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিদ্যালয় বন্ধের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়তে পারে আশঙ্কায় ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নেন তারা। শিক্ষাথীদের খোঁজ খবর নেন এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী হবার পরামর্শ দেন। সেই সাথে অভিভাবকদেরও সচেতন হবার জন্য অনুরোধ করেন।

প্রধান শিক্ষক আক্কাছ আলী বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার প্রতি মনোযোগী করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে। অভিভাবকদেরকেও সচেতন করা হচ্ছে।