ঘরে বসেই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন গাংনীর ভাটপাড়া আবাসনের বাসিন্দারা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের ৯০টি পরিবার হাতের নাগালে পাচ্ছেন স্বস্থ্য সেবা। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকলের দৌর গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেবার লক্ষ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এফপি আই ইশরাক আবাসনে চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেন। তাকে সহযোগীতা করছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ। বাড়িতে বসে চিকিৎসা ও পরামর্শ পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন সকলে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এফ ডাব্লিউ এ,এফ ডাব্লিউ ভি গনের উপস্থিতিতে আবাসনের ৯০ টি পরিবাররের ২৫০জনকে পরিবার পরিকল্পনা, বড়ি, কনডম, ইনজেকশন, বিতরণ, গর্ভবতী সেবা, গর্ভ পরবর্তী সেবা, শিশু, কিশোর কিশোরী সেবা, ও সাধারন রোগীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আবাসনে স্থায়ীভঅবে বসার স্থান না থাকায় চিকিৎসাসেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছিলেন সেবা প্রদানকারীরা। সেখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারের একটি কক্ষে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এফপিআই ইশরাক বিভিন্ন ব্যাক্তিদের নিকট থেকে চেয়ার টেবিল যোগাড় করেছেন। আবাসনের সভাপতি শুকুর আলী জানান,আবাসের বাসিন্দরা খুবই অবহেলিত। চিকিৎসা সেবা শেকে শুরু করে সব কিছুতেই পিছিয়ে রয়েছে। স্থানীয় ছেলে ইশরাক আবাসনের মানুষের দুর্দশা দেখে কমিউিনিটি সেন্টারে চেয়ার-টেবিল দিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা প্রদান করছেন। এতে আবাসনের বাসিন্দাদের দুরে কোথাও যেতে হচ্ছেনা। হাতের নাগালেই পাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। শুধু চিকিৎসা নয় নানা ধরনের পরামর্শ পেয়েও উপকৃত হচ্ছেন এখানকার মানুষ।

এফপিআই ইশরাক জানান, অবহেলিত মানুষের বসবাস ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পে। তারা অনেক সময় অর্থের অভাবে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনা। তাদের কথা বিবেচনা করেই দশ বছর যাবত প্রতিমাসে একবার সেখানে গাছের নিচে কিংবা বাড়ির উঠানে বসে ক্যাম্প ভিত্তিক চিকিৎসা প্রদান করা হতো। এখন কমিউিনিটি সেন্টারের একটি কক্ষে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আবাসনের সকলেই চিকিৎসা নিয়ে স্বাচ্ছন্দবোধ করেছন। সার্বিক সহযোগীতা ও দেখাশোনা করছেন ইশরাক ও ইসতিয়াজ ইউনুস।

গাংনী উপজেলা ইউএইসএফপিও(ভারপ্রাপ্ত) খোকন রেজা বলেন, একটি গ্রামে ২৫০ জন মানুষ বাড়িতে বসেই চিকিৎসা সেবাসহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভিবিন্ন পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। এতে হাসপাতালেও চাপ কমছে। করনাকালীন মুহুর্তে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়েও নানা পরামর্শ পাচ্ছেন তারা। হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে অনেকেই।