ঘুমের মধ্যে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র পরিচালকের মৃত্যু

ঘুমের মধ্যে মারা গেলেন ভারতের বর্ষীয়ান এই চলচ্চিত্র পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বাইয়ের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’খ্যাত এই নির্মাতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বাসু চ্যাটার্জি। সান্তাক্রুজের নিজ বাসভবনে ঘুমে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বাসু চ্যাটার্জি।

ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফটিডিএ) প্রেসিডেন্ট অশোক পণ্ডিতের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, ‘আজ সকালে ঘুমের মধ্যে মারা যান বাসু চ্যাটার্জি। বার্ধক্যজনিত কারণে কিছু দিন ধরে তাঁর শরীরের অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না এবং আজ তিনি তাঁর বাড়িতে মারা যান। চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য এটি একটি বিরাট ক্ষতি।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ঘরবন্দি। প্রত্যেকটা দিন যায় মৃত্যুর সংবাদ শুনে। প্রিয়জনের মৃত্যুর সংবাদ অনেক বেদনাদায়ক। আজ সকালে ঘুম ভেঙে এমন একটি মানুষের মৃত্যুর সংবাদ শুনব, আশা করিনি। তাঁর কাছে আমি অনেক পেয়েছি, অনেক কিছু শিখেছি তাঁর কাছ থেকে। ভারতের এক বন্ধুর কাছ থেকে মৃত্যুর খবরটা জানতে পারি সকালে। খবরটা শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। হঠাৎ বৃষ্টি শুধু আমার কাছে নয়, দুই বাংলার দর্শকের কাছেও স্পেশাল।’

এক নজরে বাসু চ্যাটার্জি

বাসু চ্যাটার্জি মুম্বাই থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক একটি ট্যাবলয়েডে অংকনশিল্পী এবং কার্টুনিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরুর আগে রাজ কাপুর ও ওয়াহিদা রহমান অভিনীত ‘তিসরি কসম’ চলচ্চিত্রে বাসু ভট্টাচার্যের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। চলচ্চিত্রটি ১৯৬৬ সালে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সারা আকাশ’ (১৯৬৯)। এর জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন এই পরিচালক।

‘ছোটি সি বাত’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘বাতো বাতো মে’, ‘চামেলি কি শাদি’, ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’, ‘কমলা কি মৌত’-এর মতো অনেক দর্শকপ্রিয় বলিউড সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ভারতীয় বাংলা সিনেমাও নির্মাণ করেন। তাঁর নির্মিত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রটি ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায়। এতে অভিনয় করেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ভারতের প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। মুক্তির পর সিনেমাটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।