ঘুষের টাকা গ্রহণ করে বদহজম হওয়ায় ফেরৎ দিয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার মুজিবনগর সমাজসেবা অফিসে।
আসাদুল শেখ অভিযোগ করে জানান, মুজিবনগর উপজেলার ভবের পাড়া গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আসাদুল শেখ প্রতিবন্ধী কার্ড করার উদ্দেশ্যে যান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এখানে তার সাথে কথা হয় অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেনের । সবকিছু দেখে শুনে সাদ্দাম হোসেন আসাদুল শেখকে বলেন আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু শর্ত দেন ভাতা পেলে তাকে ৫০শতাংশ দিতে হবে। অসহায় হিসেবে সেই শর্তে রাজি হয়ে তিনি ফিরে যান বাড়িতে। বিষয়টি অবগত করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ খানকে।
সবশেষ গত ৩০ মে তারিখে ১০ হাজার ২৭১ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং পান আসাদুল শেখ। টাকা পাওয়ার পর থেকে সাদ্দাম হোসেন আসাদুল শেখকে বারবার ফোন দেন তার ৫০ পার্সেন্ট টাকা বুঝে নেওয়ার জন্য। আজ বুধবার দুপুরে দাবিকৃত ঘুষের ৫০% টাকা বুঝিয়ে দিতে যান আসাদুল শেখ । চারটি এক হাজার টাকার মোট চার হাজার টাকা দিয়ে অফিস সহায়ককে তার ঘুষের টাকা বুঝিয়ে দেন।
পরবর্তীতে সাথে সাথেই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এর কাছে। মাহমুদুল হাসানের কঠোর পদক্ষেপে অভিযোগ স্বীকার করে পকেটে থাকা চার হাজার টাকা বের করে দিতে বাধ্য হন সাদ্দাম হোসেন।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আরিফ খান বলেন, সমাজ সেবা অফিসের অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে এরকম ঘুষের টাকা দাবি করার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের।
ঘুষের অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। পরে তিনি ফোন করে জানান, ভুল-ত্রুটি হয়ে গেছে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে। তবে ঘুষ গ্রহণের অডিও কথোপকথন রয়েছে মেহেরপুর প্রতিদিনের হাতে।
মুজিবনগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করবেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সাদ্দাম হোসেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে চাকরি করছেন ২৩ আগস্ট ২০২৩ সাল থেকে।