ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব মেহেরপুরে দিনভর বৃষ্টি ও হীমেল হাওয়া

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব মেহেরপুরে রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার(২৪ অক্টোবর) সারাদিন ব্যাপি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও উত্তরের হীমেল হাওয়া বইছে। আর এই হীমেল হাওয়ায় আজ থেকে শুরু হলো শীতের আমেজ। এই বৈরী আবহাওয়ার কারনে বিপাকে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো।

এভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে আমন চাষীরা। জেলার ৩ উপজেলার কিছু কিছু এলাকার মাঠ জুড়ে কৃষকের সোনালী ফসলের হাসি বৃষ্টিতে ভিজে স্বপ্ন ফিকে হওয়ার আশংকা করছেন।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাজ না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন দোকানে বসে থাকতে দেখা গেছে।

গাংনীর নওপাড়া গ্রামের চম্পা খাতুন ও সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের রহিমা খাতুন সকালে গাংনী বাজারের একটি দোকানের টিনের ছাউনিতে বসেছিলেন গেরহেস্তের আশায়। তারা বলেন, ভোরবেলায় ভিজতে ভিজতেই কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিন্তু গেরহেস্ত পাইনি। তাই বসে আছি। কাজ না করলে তো পেটে ভাত যাবে না।

গাংনীর শিশিরপাড় গ্রামের পাখিভ্যান চালক রহিম আলী বলেন ,অন্যান্যদিনে ৩/৪ শ টাকা ভাড়া মারলেও আজকে বৃষ্টির কারণে ভাড়া হয়নি। সকাল থেকে কিছু টাকা ভাড়া মারছি। কিন্তু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে আর ভাড়া মারতে পারছিনা।

মেহেরপুর শহরের ইজিবাইক চালক সামসুল মিয়া বলেন, লোকজন আজ তেমন বাইরে বের হইনি। ভাড়া আসবে

 কোথা থেকে। সারাদিনে ১০০ টাকা ভাড়া মেরেছি। আর এই বিকেলটুকুতে যদি দু পঞ্চাশ টাকা মারতে পারি সেই জন্য ঘুরছি। দেখি কত টাকা ভাড়া হয়।

বাওট গ্রামের দিন মজুর হামিদুল বলেন, আমাকে সমিতির কিস্তি দিতে হয়। আজকে মুনিশ খাটতে যেতে পারিনি। কি করে কিস্তি দেবো সেটা ভাবছি।আমার চার জনের সংসার। তাদের পেটের আহারও যোগাতে পারিনি এখনো।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সামাদুল ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিন্মচাপ থেকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”- এর প্রভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবেই সারাদেশের ন্যয় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

বুধবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”- এর প্রভাব কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সেই সাথে শীত অনুভূত হতে থাকবে।এমনকি শীত পড়বে বেশি।