চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত বেড়ে ১৭০

চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে এ ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল শুধু উহান শহরেই মারা গেছে ১৬২ জন। বাকিগুলো চীনের অন্যান্য শহরে।

এ ছাড়া পুরো চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭১১ জনে। ক্রমেই এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে চীনের সর্বত্রই। খবর বিবিসির।

বিশ্বের ১৬ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার এ রোগে আক্রান্তের হার ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া চীনের বাইরে সারাবিশ্বে আরও ৯১ জনের দেহে এ ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির প্রধান ড. মাইক রায়ান বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখনই বিশ্বকে সতর্ক হতে হবে।

ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ‘জরুরি অবস্থায়’ রয়েছে কিনা তা নিয়ে চীনের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ড. রায়ান বলেন, এই রোগ কীভাবে সংক্রমিত হয় সে সম্পর্কে আরও জানতে একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল চীন পাঠানো হচ্ছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর উহানে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ার পর চীনের সীমানা পেরিয়ে এই ভাইরাস রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, ম্যাকাও ও হংকংয়ের বাইরে ছড়িয়েছে।

এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইসরায়েলেও এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহর থেকে শত শত বিদেশি নাগরিককে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের উহান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।

২০০৩ সালে একই গোত্রের ভাইরাস সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের (সার্স) প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় চীনে।

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

 

 

 

 

সুত্র-যুগান্তর