চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জালশুকা গ্রামে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে সাফিদ আহমেদ সাম্য (১৮) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের আত্মহত্যা করেছে।
রবিবার ভোরে নিজ শয়নকক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।
সাফিদ আহমেদ সাম্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের স্কুলপাড়ার পল্লি চিকিৎসক ও এনজিও কর্মী আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে। তিনি মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর মা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মোটরসাইকেল কেনার জন্য বাবা-মায়ের নিকট আবদার করছিল সাফিদ আহমেদ সাম্য। এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় তাঁর। রাতেই এক বন্ধুকে মুঠোফোনে আত্মহত্যার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন সাম্য। পরে সাম্যর এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাঁর পরিবারকে আত্মহত্যার বিষয়ে জানানো হয়। পরে ভোরে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজ ছাত্র সাম্যর মরদেহ উদ্ধার করে।
সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলু সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে। মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে বাবা-মায়ের উপর অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।