চুয়াডাঙ্গার দর্শনার সাইদুর রহমান সাবদার নামের এক ব্যক্তি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা থেকে বাঁচতে সাড়ে ১০ বছর পালাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। বিকালে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পালাতক সাইদুর রহমান সাবদার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণচাঁদপুর পাড়ার আহসান আলী আসানের ছেলে।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরে দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণচাঁদপুর গ্রামের নাসিরকে একই এলাকার মনির ডেকে নিয়ে যায় কুড়িরমাঠের খেজুর বাগানে। বেশ কিছুদিন ধরে সাইদুর রহমান সাবদার গ্রুপের সাথে জোয়ার বোর্ডের টাকা তোলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে সাইদুরসহ ৮-১০ জন মিলে নাসিরকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ বিপ্লব গোস্বামী ৪ জন আসামির মধ্যে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্য দুইজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাইদুর রহমান সাবদার পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর পর সাইদুর চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।