চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে ভুয়া পুলিশ সদস্য আটক

চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ সেজে মানুষের কাছ থেকে টাকা মোবাইলফোনসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়া ভুয়া পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।

শনিবারে রাত দেড়টার সময় ঝিনাইদহ ও মহেশপুর এলাকা থেকে এসব ভুয়া পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল। এসময় তাদের কাছে থাকা একটি মোটরসাইকেল একটি খেলনা পিস্তল পাঁচটি মোবাইল ফোনসহ মোবাইলের অনেকগুলো কভার উদ্ধার করা হয় ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বলেন আটককৃতরা হলেন মোঃ ইসমাইল খান আরিফ (৩০)পিতা মোঃ আনছার আলী ও তার প্রধান সহযোগী উত্তমকুমার (২৯)কে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৭ জুলাই রাত সাড়ে আটটার সময় মোটরসাইকেলযোগে ৪ জনের একটি দল পুলিশ পরিচয় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন উক্ত গ্রামের রাস্তার পাশে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার লুডু গেমস খেলা রত অবস্থায় কতিপয় যুবক ও কিশোরদের আটক করে তাদের কাছে থাকা সব মোবাইল ছিনতাই করে নেয় এবং স্থানীয় মেম্বার এর কাছ থেকে মোবাইল গুলো পড়ে নিয়ে আসতে বলেন। পুনরায় তারা ২৬ শে জুলাই একই সময়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ভুলটিয়া ও কিরোন গাছি এলাকায় ভুয়া পুলিশ সেজে একইভাবে কথিত ভুয়া অভিযান করে সর্বমোট আরও তিনটি মোবাইল কেড়ে নেয় তারা।

বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলামের নখদর্পণে আসলে তিনি চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের নির্দেশনা দেন যেকোন মূল্যেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং গতকাল মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (সদর সার্কেল ) নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর মোঃ একরামুল হোসেন, এসআই সামিম হাসান, এসআই হাসানুজ্জামান সমন্বয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঝিনাইদহ ও মহেশপুর এলাকার পৃথক পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করে এই গ্যাং নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রধান আসামি মোঃ ইসমাইল খান আরিফ ও তার সহযোগী উত্তম কুমার সহ তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত একটি মোটরসাইকেল ও একটি খেলনা পিস্তলসহ পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ছিনতাই করা আরো মোবাইল উদ্ধারের জন্য আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।