চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে জমিসহ বাড়ি কিনে বিপাকে মহাসিন

চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে জমিসহ বাড়ি কিনে বিপাকে মহাসিন

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে জমিসহ বাড়ি কিনে বিপাকে পড়েছে দর্শনার মিজান নামের এক ব্যবসায়ী। এ বাড়িকে কেন্দ্র করে বিক্রেতার পরিবারের সাথে ঝামেলায় থানা পুলিশে অভিযোগের পর আদালতে করে নোটিস।

মিজানুরের অভিযোগে জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের মোল্লা পাড়ার মৃত আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে মিলন উদ্দীন মোল্লার নিকট হতে গত ৭ মাস পূর্বে ০৫৬৮ একর জমি ও একটি গোডাউন ভবন সহ পাকা বাড়ি ক্রয় করেন দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান। এ ক্রয়কৃত জমিসহ বাড়ি দখলে নিয়ে বাড়ি বসবাস শুরু করেন মিজান। তার ক্রয়কৃত জমি ও গোডাউন সহ বাড়িটি ক্রয়ের কিছুু দিনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন হাউলী গ্রামের ফকির মোহাম্মদের

ছেলে মহসিন আলীর নিকট বিক্রি করে দেয়। এ বিক্রিকৃত বাড়ির ক্রেতা মহসিন আলীকে বিক্রেতা মিজানুর রহমান বুঝিয়ে দিতে গেলে পূর্বের বিক্রেতা মিলন উদ্দীন মোল্লার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে বিরোধ সৃস্টি হয়। এ বিরোধের জেরে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ ও দর্শনা থানা পুুলিশ পর্যন্ত গড়াই। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা আদালতে ফৌজদারীর কার্যবিধি আদেশ জারী করে একটি নোটিশ করে মহসিন বিবাদীদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগকারী মিজানুর রহমান আরো জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের মোল্লা পাড়ার মৃত আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে মিলন উদ্দীন মোল্লার কাছ থেকে ওয়ারিশ সুত্রে প্রপ্য হয়ে তার নিজ নামে খারিজ করে ৮.২৪ এবং খাজনা দেওয়া গোডাউন-বাড়ি সহ জমি ক্রয়ে সহমত প্রকাশ করে মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান খরিদ করে মিজান যার জমির পরিমান. ০৫৬৮ খরিদ করে।মিজান ১৪/০৬/২৩ যার দলিল নং ৪৮৭৭ এবং ভোগ দখল করে কনষ্টোকশনের কাজ করে। মিজান পুনরায় বাড়ি ও গোডাউন বিক্রি করতে চাইলে মহাসিন কেনার সহমত পোষন করে। পুনরায় মিজান মহাসিনের কাছে বাড়ি ও গোডাউনসহ জমির পরিমান .০৫৬৮ একর বিক্রি করে।এরপর মহাসিন খারিজ খাজনা নামপত্বন ও খাজনা পরিশোধ করে মিজানের নিকট থেকে জমিসহ বাড়ি ও গোডাউন বুঝে নেন।

পরবর্তীতে দোস্ত গ্রামের মোল্লা পাড়ার মৃত্য আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে রাজু আহম্মেদ ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, বড় ভাই আব্দুল জলিল মোল্লা ও তার স্ত্রী রেহেনা পারভীন , ও রাজুর মা আরফান নেছা মহাসিনের ক্রয় কৃত জমি ও বাড়িতে তালা লাগায়।

এতে মহাসিন কোন উপায়ন্ত না পেয়ে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় বসে সালিস বৈঠক। বৈঠকে পুলিশ রাজুদের দোষ প্রমানিত হয় এবং স্বীকার করে তালা খুলে দেওয়ার কথা বলে। পুনরায় তালা না খুললে গ্রামের মন্ডল মাতবর সালিস বৈঠক করে তালা খুলে দেয়। এর পর মহাসিন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করার অবস্থায় আবার রাজু গং তাদের তালা বদ্ধ করে রেখে দেয়। এবং বিভিন্ন ভাবে প্রান নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।এ ঘটনায় মহাসিন হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তালা খুলে তাদের উদ্ধার করে।পুনরায় আবার তালা লাগায়।

গত ৪ জানুয়ারি হিজলগাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে সালিস বৈঠক বসে। সালিস বৈঠকে তার ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে তালা খুলে মহাসিনের কাছে হস্তান্তর করে। পরে গত ৯ জানুয়ারী সন্ধায় ঘরের গেটে ঝামেলা থাকার কারনে মিস্ত্রী নিয়ে ঘরের কাজ করে। পুনরায় আবার রাজু গং তালা মারে ঘরে। মহাসিন ক্রয় করে মিজানের নিকট থেকে এবং ঘটানাটি মিজনকে জানালে মিজান ঐ জমিতে যায়। জমিতে তালা খুলতে গেলে মার গালিগালাজ ও শ্বাসরুদ্ধ করে এবং প্রাননাশের হুমকি দেয় এবং মেয়ে ছেলে মিলে এমন কি ঝাটা পিটা করে। যা ভিডিও ধারন করা আছে এবং মহাসিন ও মিজানের কাছে থাকা দেড় লক্ষ টাকা ২ টা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় অভিযোগ করে।

এ বিষয়ে জমি ক্রেতা মহাসিন আলী চুয়াডাঙ্গা আদালতে মৃত আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে রাজু আহম্মেদ, আব্দুল জলিল মোল্লা, রাজু আহম্মদের স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, আব্দুল জলিল মোল্লার স্ত্রী রেহেনা পারভীনের বিরুদ্ধে ফৌজদারীর কার্যবিধি আদেশ জারী করে একটি নোটিশ করেছে। এ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ তাই প্রশাসনের উপর হস্তক্ষেপ কামনা করছে সুধি মহল।