চুয়াডাঙ্গার বটতলা বাজারে অবস্থিত মসজিদের সংস্কার কাজে বাঁধা

চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারে অবস্থিত মসজিদের সংস্কার কাজে বাধা এবং নানাভাবে হয়রানি কারার অভিযোগ উঠেছে শফিকুল ইসলাম জান্টুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মসজিদের কাজে বাঁধা দেয়ায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসিসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যে কোন মূল্যে মসজিদের সংসস্কারের কাজ চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে এলাকাবাসি।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারে ২০০০ সালের দিকে তৎকালিন সাবেক বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী বাজারে আসা মুসল্লিদের আবেদনে ওয়কতিয়া নামাজ পড়ার বন্দবস্ত করেন। তিনি বাজারের দক্ষিণপার্শে ১০ ফুট গর্তবোঝাই করে প্রায় দেড় কাঠা জমির ওপর ছোট একটি নামাজের জায়গা তৈরী করেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একদিনে বা একার সহযোগিতায় গড়ে ওঠে না। সকলের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে। আস্তে আস্তে মুসল্লির সংখ্যা বাড়তে থাকলে ওই স্থানে পাকা মসজিদ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করে এলাকাবাসি।

২০০৬ সালের দিকে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের হাজি আফসার আলী পিছনের পজিশন হিসাবে সামনে সওজের আংশিক জায়গা এবং আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আবুবক্কর সিংহভাগ জমি দান করেন এবং পাকা মসজিদ নির্মানের উদ্দেশ্যে ভিত্তীপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এর পর থেকে ধীরে ধীরে এমপি, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় থেকে বরাদ্ধ পেয়ে মসজিদটি গড়ে উঠতে থাকে। এরি মধ্যে বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছাদ করার জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি আতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানাসহ এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, প্রথম যখন কাজ শুরু হয়েছিলো তখনতো দাতা সদস্যরা এবং জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই হয়েছে। এখন ছাদের কাজ যেই শুরু হয়েছে তখনি দাতা আফসার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম জান্টু মসজিদের ছাদ নির্মান কাছে বাঁধা দেয়া এবং হয়রানি করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগে (সওজ) অভিযোগ দেয়াসহ নানাভাবে হুমকি ধামকিও দিচ্ছে।

যার পিতা সরকারি জমি দান করেছে তার ছেলে এসে বাঁধা সৃষ্টি করা এটা হিনমানসিকতা ছাড়া কিছুই না। তারা আরও বলেন, হাজি আফসার আলী নিজে সরকারি জমি দখল করে রেখেছে অথচ মসজিদের কাজে ছেলে দিয়ে কৌশলে কলকাটি নাড়ছে। উপস্থিতিরা প্রত্যয়ব্যাক্ত করে বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। যে কোন মূল্যে তা বাস্তবায়ন করব। তবে মসজিদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে আহম্মদ আলী বলেন, প্রতিটি হাট বা বাজারেই নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকে। কোথাও ছোট আবার কোথাও বড়। এই বাজারের জায়গাটি পেরিফেরি করে সরকারি খাতে আমিই নিয়েছি। এখন সরকার এখান থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। যারা বাজারে এসে রাজস্ব দিচ্ছেন তারা একটু নামাজ পড়ার জায়গা পাবেন না ? এ বিষয়ে শফিকুুল ইসলাম জান্টুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।