চুয়াডাঙ্গায় সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি

সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের সময় শেষ হলেও চুয়াডাঙ্গা জেলায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান-চাল বিক্রি করেনি। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সংগ্রহের সময় বাড়বে। নতুন ধান উঠেছে। আরো কিছু ধান-চাল কেনা হতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল ইসলাম জানান, জেলায় এ বছর পাঁচ হাজার ৩১০ টন ধান ও সাত হাজার ৬০৫ টন চাল কেনার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ সময় নির্ধারণ ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য বিভাগ ধান কিনতে পেরেছে এক হাজার ২১০ টন; যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৩ ভাগ। এছাড়া চাল কিনতে পেরেছে তিন হাজার ২৬৪ টন; যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৩ ভাগ।

তিনি জানান, ক্রয় কার্যক্রম শুরুর আগে লটারির মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৩১০ জন কৃষক নির্বাচিত করা হয়। প্রত্যেক কৃষক এক টন করে ধান দিতে পারবেন। সেই হিসেবে নির্ধারিত কৃষকদের কাছ থেকেই ধান কিনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার কথা। কিন্তু খোলা বাজারে দাম বেশি থাকায় নির্ধারিত কৃষকরা খাদ্য বিভাগের কাছে ধান বিক্রি করেনি। একই অবস্থা হয়েছে চাল কেনার ক্ষেত্রেও।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের কৃষক মাসুম আলী জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি। এজন্য কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান ও চাল বিক্রি করেনি।

মিল মালিকরা জানান, খাদ্য বিভাগের নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি করতে হলে মোটা অংকের লোকসান দিতে হবে। এজন্য মিল মালিকরা খাদ্য বিভাগে চাল দিতে পারেনি। আমরা কিছুটা দাম বাড়ানোর দাবি করেছিলাম।

চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল ইসলাম জানান, আরো ১৫ দিন সময় বাড়বে। বর্ধিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে। আমাদের আশা কৃষক ভাল দাম পাক। সেই অবস্থায় হয়েছে। বাইরে বিক্রি করে কৃষক ভাল দাম পেয়েছে। তা ছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। জেলায় খাদ্য সংকট হবে না।