ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসা সুপারের যাবজ্জীবন

আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় দিলেন আদালত। কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ওই ঘঠনার রায়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় এ রায় দেন আদালত। রায়ে জরিমানা আনাদায়ে ওই শিক্ষককে আরো ১ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় এত দ্রুত সময়ে রায় দেওয়ার ঘটনা জেলায় এটিই প্রথম। দেড় মাস আগে এ মামলা দায়ের করা হয়।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ ও ৪ অক্টোবর মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকায় সিরাজুল ইসলাম দারুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদরাসায় ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে দুই দফায় ধর্ষণ করেন মাদ্রাসার ‍মুহতামিম আব্দুল কাদের। ঘটনার পর তার বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসার মহতামিমের (বড় হুজুর) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মিরপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে মাত্র ৭ দিনে আদালতে গত ১৩ অক্টোবর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়।

পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন,‘ মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মামলা দায়ের করে তার বাবা। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৭ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক চার্জ গঠনের পর মাত্র তিন কার্যদিবসে স্বাক্ষীগ্রহণ শেষে রায়ের দিন ধার্য্য করেন। গত ১২ নভেম্বর এ মামলার চার্জ গঠন করেন আদালত। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ছুটি ছিল। ১৫ নভেম্বর বাদীসহ ১৩ জনের স্বাক্ষ্য নেন আদালত। আর আজ দুপুরে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন।

আদালতের পিপি আব্দুল হালিম বলেন, মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় হওয়ার বিষয়টি দেশে বিরল। দ্রুত এ রায়ের মাধ্যমে নির্যাতিত পরিবারটি ন্যায় বিচার পেয়েছে। এ রাযের মাধ্যমে আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরো বেড়ে গেল। আগামীতে দ্রুততম সময়ের মাধ্যে এ ধরণের রায় আরো হবে বলে আমরা আশা করছি।