ছিটকে পড়েছেন মিলু, কী আছে জিয়া বিশ্বাসের ভাগ্যে ?

বিদ্রোহী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু। আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনে বিরাগভাজন হয়ে কপাল পুড়েছে সভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের। ফলে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের এবারের নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের ভাগ্যে কী আছে তা কেউই বলতে পারছেন না। জোর দিয়ে বলতে পারছেন না তিনিও।

আগামী ৯ মে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে।

সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম তোতা।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান নান্নু, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাবলু।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কামরুল হাসান চাদু বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে গণসংযোগেই অধিকাংশ সময় কাটছে। গতবার অল্প কিছু ভোটে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফেল করেছিলাম। তবে এবার আশা করছি নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করবেন।

আরও পড়ুন  কে হবেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ?

অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রেজাউর রহমান নান্নু বলেন, বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন অটো বহিষ্কার হয়েছেন। ফলে তারা কেউ কোন পদপ্রার্থী হতে পারছেন।

সভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দুই আড়াই বছর ধরে কোন সমন্বয় করেন না বরং এড়িয়ে চলেন। সকল কাজে বাধা প্রদান করে আসছেন। ফলে তিনি কি চাইছেন সেটা তো পরিস্কার। তবে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা আমার সাথে আছেন। আশা করি তার পুরস্কার পাবো। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম তোতার নাম শুনছি। তিনি জেলা সভাপতির মদদপুষ্ট হয়ে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন। বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনে কাজ করেছেন, সে হিসেবে সভাপতিকেও বিদ্রোহী বলা যায়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হয়েছে। ওই কাউন্সিলে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস সভাপতি এবং মহাজনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগামী ৯ মে মুজিবনগর কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন উপলক্ষে ইতিমধ্যে সভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের অনুসারীরা পৃথক পৃথক ওয়ার্ড কমিটি গঠণ করে। যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে কেন্দ্র উভয় কমিটি বাতিল করে।