জনগণের উপর আমার আস্থা আছে – গোলাম সাকলায়েন ছেপু

ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনের আমেজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছুটছেন জনগণের কাছে। কেউ কেউ দলের উচ্চ পর্যায়েও দোড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন এর এবারের আয়োজন ‘গ্রামীণ জনপদে ভোট’ শীর্ষক সাক্ষাৎকার পর্ব। ৫ম পর্বে মেহেরপুর প্রতিদিন এর মুখোমুখি হয়েছিলেন গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু। সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি পলাশ আহমেদ। সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশটি এখানে তুলে ধরা হলো।

মেহেরপুর প্রতিদিন: আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
গোলাম সাকলায়েন ছেপু: আমি দলীয় মনোনয়ন নৌকা পেয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এছাড়াও বিগত বছর গুলোতে আমার প্রতিশ্রুতির চেয়ে বেশি কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে আসছি। আমি ছাত্ররাজনীতি করেছি। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে। আমি জনগণের প্রাণের দাবী তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি আমি অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করছি। সেই সাথে আমার গাংনী এবং মেহেরপুরের নেতা বর্গও জানেন আমি কি করেছি দল ও জনগণের জন্য। তাছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আছেন তারাও আমার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছেন। তাই জনগণ আমাকে চাই তাই আমি শতভাগ আশাবাীদ আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রাণের সংগঠন আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনয়ন দেবে। তাছাড়াও রাজনীতীতে প্রতিযোগীতা থাকবেই। একাধিক প্রার্থী হবে। আমার বিশ্বাস আমার রাজনৈতিক ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড দেখে আমাকে পূনরাই মনোনয়ন দিবেন।

মেহেরপুর প্রতিদিন: চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের প্রতিশ্রুতির কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন বলে মনে করেন, যাতে করে জনগণ আপনাকে পূণরায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে?
গোলাম সাকলায়েন ছেপু: আমার ইউনিয়নের সবার কাছে আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল সেবা পৌঁছে দিয়েছি। ১০ কেজি চাউল, ১৫ কেজি ৩০ কেজি বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতা সহ প্রতিবন্ধী মুক্ত ইউনিয়ন মুক্ত বলতে পারি। কাজী জনগণকে রাস্তা ঘাটের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সে গুলো আমি বাস্তবায়ন করেছি। আর মাত্র তিনটা রাস্তা বাকি ছিলো সেগুলো প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে হয়ে যাবে।

বলতে গেলে, আমি বলবো, এমন কোন রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেটা চলাচলের অনুপযোগী। কৃষকরা মাঠে পায়ে হেটে যেতে পারতো না। সেখানে এখন পাকা রাস্তা হয়েছে। করোনাকালীন আমার ইউনিয়নের নিন্ম বিত্ত মধ্যবিত্ত সকল মানুষের জন্য সরকারি সুবিধা দোর গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। তাই জনগণের উপর আমার আস্থা আছে। পূণরায় আমাকে নির্বাচিত করবে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: ইতোমধ্যে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচনে অংশ নিবে। সেক্ষেত্রে আপনার ইউনিয়নে নির্বাচনটি কেমন প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন হবে ?
গোলাম সাকলায়েন ছেপুঃ অবস্যই সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। তবে বিএনপিকে বাংলাদেশের সংকটময় সময়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই আমি তাদের সাথে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করি না। তবে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। তাই আমি মনে করি এই উন্নয়নের ধারাবহিকতা রক্ষা করার জন্য জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারণ করা প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবে।
মেহেরপুর প্রতিদিন: আপনার পরিষদে কোন প্রকার অনৈতিক দেখা দিলে আপনার ভূমিকা কি থাকে?

গোলাম সাকলায়েন ছেপুঃ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা, এই গুলোর কার্ড বিতরণ করার দিন সকলে আমার ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়।তার পর আমি হ্যান্ড মাইক নিয়ে তাদের বলি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনাদের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছে এই ক্ষেত্রে আপনারা যদি কোন প্রকার টাকা কাউকে দিয়ে থাকেন তাহলে আপনারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। আর যদি এমন কিছু ঘটে সরাসরি আমাকে জানাবেন তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নিবো। আমার মেম্বার রা যারা আছেন তাদেরো এই ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ করেও থাকে তাদের সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেরপুর প্রতিদিন: পুনরায় হলে কি কি করতে চান?
গোলাম সাকলায়েন ছেপু: আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে আমার রাইপুর ইউনিয়ন কে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই সাথে আমার সকল উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে সাথে বেকার মুক্ত করণ করে বেকার দের কর্মসংস্থান ও মাদকমুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।