
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও শতভাগ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
আজ বৃহস্পতিবার তিনি নিয়মিত ইউনিয়ন পর্যায়ের সভা, স্কুল, মসজিদ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়ে জনগণকে সচেতন করছেন।
উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় আয়েশা ও মায়েশা এর জন্মের ০৭ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করেন তাদের পিতা মাতা।
সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য, আয়েশা ও মায়েশা'র মায়ের হতে তুলে দেওয়া হয় জন্ম নিবন্ধন সনদ, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা পত্র, খেলনা সামগ্রী এবং মিষ্টির বাক্স।
তিনি বলেন, “প্রতিটি শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যেন তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে, মৃত্যু নিবন্ধন করাও বাধ্যতামূলক। এই দুটি নিবন্ধন না হলে ভবিষ্যতে নাগরিক সেবা গ্রহণে নানা জটিলতা তৈরি হয়।”
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আয়েশা ও মায়েশা এর পিতামাতার মতো সকল পিতামাতাই শিশু জন্মের সাথে সাথেই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক।
এছাড়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জনগণের তথ্য সংরক্ষণ এবং দ্রুত নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মিরপুর উপজেলার ইউএনও’র এই প্রচেষ্টা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শতভাগ বাস্তবায়নের দিকে এক সাহসী পদক্ষেপ। সম্প্রতি খুলনা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউএনওর সম্মাননা লাভ করেন তিনি।