জমে উঠেছে শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন

নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার নির্বাচন। আগামী ১৬ জানুয়ারীর নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

বর্তমান মেয়র ও আওয়ামীলীগ প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পৌর শহরজুড়ে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও সকল অলিগলি।

নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম বলেন, ২য় ধাপে শৈলকুপা পৌরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে পৌরবাসীর কাছে পাঠিয়েছেন। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নৌকায় ভোট দেবে বলে তাদের কাছ থেকে সেই প্রতিশ্রুতিও পাচ্ছি। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

আমি নির্বাচিত হলে জনগণ যে দুর্দশায় আছে, তা ঘোচাতে চেষ্টা করবোস্বতন্ত্র ও জগ মার্কার প্রার্থী মোঃ তৈয়বুর রহমান খানকে পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালাতে দেখা যায় তিনি বলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোঠে বিজয়ী হব।

ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মো: খলিলুর রহমান নিরবে ভোট প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দল মত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে এ ব্যাপারে নিরাপত্তাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভাল থাকে সংশ্লিষ্টদের কাছে সেই প্রত্যাশা করেন।

জাতীয় পার্টি প্রার্থী আবু জাফরকেও ভোট প্রচার পচারণা কাজে ব্যস্ত দেখা যায়।

শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত তিনটি মহিলা ওয়ার্ডে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শৈলকুপা পৌরসভার নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে পৌরসভার সাধারণ ভোটারের সংখ্যা ২৮৬৩২। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ১১৩। আর নারী ভোটার ১৪ হাজার ৫১৯ জন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জুয়েল আহাম্মেদ বলেন, সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।