জামাত-বিএনপি’রা দেশের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

এফ এফ রুপক:

জামাত-বিএনপিরা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সহ্য করতে পারেনা। তারা সবকিছুতেই সমালোচনা করে। বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব যখন থেকে শুরু হয়েছে তখন সমালোচনা করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষন নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ যখন অন্য দেশের তুলনায় সফল তখনও সমালোচনা করেছে। বিশ্বের বড় বড় দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ যখন করোনার ভ্যাকসিন পেলো এবং জনগন সেই ভ্যাকসিন আগ্রহের সাথে গ্রহন করছে। এই ভ্যাকসিন নিয়েও বিএনপি’র নেতারা বিরুপ মন্তব্য করেছে।

কিন্তু এর পরও দেখা যাচ্ছে এখন বিএনপি’র নেতারাও চুরি করে ভ্যাকসিন নিচ্ছে। শুক্রবার বিকালে মেহেরপুরের পিরোজপুরে আওমী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন। তিনি আরও বলেন, ২০০৫-০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫শ ৩০ মার্কিন ডলার। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ধনী দেশ হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। এটা বিএনপি’র সহ্য হচ্ছে না। ফরহাদ হোসেন আরও বলেন বিএনপি’র রাজনীতি মিথ্যার রাজনীতি, বিএনপি’র রাজণীতি অপপ্রচারের রাজনীতি। জনগণ তাদের আর বিশ্বাস করে না।

মেহেরপুর প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেহেরপুর তথা মুজিবনগরের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী ব্লাংক চেক দিয়েছেন। মেহেরপুরের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তিনি করছেন। আমরা মুজিবনগর বিশ্বিবদ্যালয় পেয়েছি। মুজিবনগরকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরির জন্য প্রধান মন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃড় করতে মুজিবনগর দিয়ে তৈরি হচ্ছে স্বাধিনতা সড়ক। মেহেরপুরসহ সারা দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকার আহবান জানান ফরহাদ হোসেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের ভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ, মুজিবনগর উপজেলা আওমীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি ও মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য শামীম আরা হিরা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁণ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হালিম, মেহেরপুর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহাম্মেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়ুব আলী, জেলা আওয়ামীলীগের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মমিন, আমদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, বুড়িপোাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজামান, যুব মহিলালীগের সভানেত্রি সামিউন বশিরা পলি, জেলা তাতীলীগের আহবায়ক নুর ইসলাম সুবাদ আলী, সদস্য সচিব জুয়েল রানাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা।