জীবননগরে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে সবজি চাষে

এ বছর জীবননগর উপজেলায় লাউ,শিমসহ বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ। এভাবে সবজি চাষির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সবজি অঞ্চলে পরিণত হয়েছে ।
অনেকের মতো জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম কয়েক বছর ধরে লাউ চাষ করছেন। চাহিদা থাকায় লাউ চাষে বেশ মুনাফা অর্জন করেছেন তিনি।
চলতি মৌসুমে অন্যান্য সবজির সঙ্গে দুই বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন আব্দুল আলিম। সাড়ে তিন মাসে বিক্রির উপযোগী হয় তার লাউ। এ সময়রে মধ্যে দেড় মাস পরিচর্যা করতে হয়। আর দুই মাস ধরে চলে লাউ সংগ্রহ ও বিক্রি।
লাউ চাষে খরচ কম উল্লেখ করে চাষি আব্দুল আলিম দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, জমি তৈরি করে বীজ লাগানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই চারা গজিয়ে যায়। এরপর পরিচর্যা, পানি, সার ও লাউয়ে লতা বিস্তারের জন্য মাচা দিলেই দেড় মাস পর ফুল-ফল আসা শুরু করে।
গেল দেড় মাস ধরে প্রতিদিন ৪০/৬০টি করে লাউ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিটি লাউ ২৫/৩০ টাকা করে জমিতেই পাইকারীদের কাছে বিক্রি করছেন। লাউ বিক্রি চলবে আরো প্রায় মাস খানেক।
দুই বিঘা জমিতে লাউ চাষ করতে তার খরচ পড়েছে মাত্র ৬-৭ হাজার টাকা। এবার লাউ বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা মুনাফা করার আশা করছেন আব্দুল আলিম।
বর্তমানে জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর, মুক্তারপুর, কাটাপোল, গয়েশপুর, মেদনীপুর, হরিহরনগর, বেনীপুর, এলাকার লাউ স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দখল করেছে রাজধানীর কাওরান বাজারসহ সারা দেশের সবজি বাজার। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ট্রাকে ট্রাকে এ অঞ্চলের লাউসহ বিভিন্ন সবজি চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ সারা দেশে। জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন আক্তার দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন কে বলেন, কৃষি বিভাগের নির্দেশনা আর চাষিদের পরিশ্রমে চলতি মৌসুমে ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েেেছ এবার। লাউয়ের চাহিদা থাকায় চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। সবজি সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুিবধা দেওয়া হচ্ছে।