জীবননগরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর জোরপূর্বক গর্ভপাত

জীবননগরে এক কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের পর ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিশোরীর মামাতো ভাই আলামিন কর্তৃক এ ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। কিশোরীর স্বাজনরা জোর করে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটায়। শনিবার দুপুরে পুলিশ ভূমিষ্ঠ হওয়া মৃত ছেলে নবজাতকটি কে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ানের গোয়ালপাড়া গ্রামের এক কিশোরী (১৭) বেশ কয়েক বছর ধরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিনাপাড়ার দিপুর বাড়িতে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে। কিশোরীর বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও তিন বোন মামার বাড়িতে থাকতো। গত রোজার ঈদে কিশোরী ঈদে বেড়াতে আসে মায়ের কাছে।

এ সময় মামাতো ভাই আলামিন ঈদের পরের দিন রাতে জোর পূর্বক তাকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে কিশোরীকে। কয়েক দিন রাতে কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে আলামিন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা।

কিশোরী কুষ্টিয়ায় অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার মা বৃহস্পতিবার সন্ধায় গ্রামে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য ডাক্তার সামসুল হুদার কাছে নিলে গর্ভপাতের জন্য ওষুধ খাইয়ে দেয়। শুক্রবার রাতে কিশোরী বাড়িতে গর্ভপাত হলে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পারে। ভূমিষ্ঠ হওয়া মৃত নবজাতকটি কে পরিবারের সদস্যরা সরিয়ে ফেলতে চাইলে স্থানীদের বাধার মুখে পড়ে। কিশোরীর মা, মামা-মামী গ্রামে প্রচার করতে থাকে কুষ্টিয়া থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আলামিন গা ঢাকা দেয়। স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনার সাথে জড়িতেদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক।

৪নং সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, গোয়ালপাড়া গ্রামে কুমারী মেয়ের পেটে বাচ্ছার বিষয়টি আমি শুনে ঘটনা স্থানে যায়। সেখানে যেয়ে দেখি বাচ্ছাটি মারা গেছে। আমি বিষয়টি জীবননগর থানা পুলিশকে বললে ঘটনা স্থানে পুলিশ ছুটে আসে। তবে এ ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন আমি তার শাস্তি চাই।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গোয়ালপাড়া গ্রামে কুমারী মেয়ের বাচ্ছা জন্ম দেওয়া এবং তাকে হত্যার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনা স্থানে যেয়ে বাচ্ছাটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে।