জীবননগরে মালচিং পদ্ধতিতে ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষে সাফল্য

জীবননগর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মালটিং পদ্ধতিতে ১২ মাসি ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ করে যাদুকারী সাফল্য পেয়েছেন বৈদ্যনাথপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে ইরান প্রবাসী তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টুমিয়া। বাণিজ্যিক ভাবে লাভ জনক হওয়ায় ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষে আগ্রহী হয়েছে অনেকে।

জীবননগর উপজেলার মাটি সব ফসলের জন্য উপযোগী হওয়ায় একজন শিক্ষিত উদ্দোমী তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টু মিয়া ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ করে সফল হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়ায় নিজের পরিশ্রম আর ইউটিউব দেখে শুরু করেন ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ। শুরুটা এলাকার মানুষের কাছে হাস্যকর হলেও গাছে ফল ধরা দেখে মানুষ হতবাক হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা পেলে আর ও বেশি পরিসরে ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ করে এলাকার বেকার যুবকদের একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত বলে মনে করেন এই তরুন উদ্যোক্তা।

প্রতিটি ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ ২০০গ্রাম থেকে ২৫০গ্রাম ওজন হয়ে থাকে, যার বাজার মূল্যে কেজি প্রতি ১২০টাকা থেকে ১৪০টাকা। যদিও এটি একটি বিদেশী খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তারপরও বাংলাদেশে এর চাহিদাটাও কম নয়।

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলায় এবার প্রথম ১ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই কৃষকরা এ চাষে ঝুকে পড়েছেন। চারা লাগানোর পর নীবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ করে এ উপজেলায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টু মিয়া। তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টু মিয়া বলেন, দীর্ঘ সময় ইরানে ছিলাম, সেখানে ক্যাপসিক্যাম্প চাষ দেখেছি সেখান থেকে এ চাষের উপর আমার নেশা।

এর পর ইরান থেকে এর বীজ সংগ্রহ করে দেশে এসে বাবার নিকট থেকে ১০কাটা জমি নিয়ে এ চাষটা শুরু করি। প্রথম দিকে এ চাষের কথা বললে এলাকার মানুষ একটু হাসতো।

আর বলতো বিদেশ থেকে এসে কি চাষ করছে। আমি কারও কথায় কোন কর্ণপাত না করে চাষটি শুরু করি। চাষটি যদিও আমাদের এলাকাতে প্রথম যার ফলে এ চাষ সম্বন্ধে তেমন কেউ পরামর্শ দিতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আমি ইউটিউব এর সহযোগিতায় আমি এ চাষটি করি। বর্তমানে আমি ২বিঘা জমিতে ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ করেছি এতে আমার খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০হাজার টাকা আর আমি গত গয়েক দিন আগে ২৮হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছি এবং এখনও গাছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০হাজার টাকার ফল রয়েছে। তবে এটা ১২মাসের ফসল হওয়ায় এ চাষে অল্প খরচে লাভবান হওয়া যায়।

জীবননগর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিমুল আহম্মেদ জানান, জীবননগর উপজেলায় ১ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ হচ্ছে এবং তরুণ চাষী লাল্টু মিয়া একজন সৎ ও সচেতন চাষী। সে রাসায়নিক মুক্তভাবে জৈব সার এবং জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করে ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষ করছেন।

কৃষি বিভাগ তার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে যা আগামীতে অব্যহত থাকবে। কৃষকদের ক্যাপসিক্যাম্প মরিচ চাষে উৎসাহিত করা হলে আমদানী নির্ভরতা কমার ফলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ।