জীবননগরে যাত্রী ছাউনীর নির্মান উদ্বোধন হলেও কাজ হয়নি ২বছরেও

দীর্ঘ দিন যাবৎ জীবননগরে যাত্রী ছাউনী না থাকায় সাধারণ যাত্রীদের প্রতিনিয়ত পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।
গত ২০১৭ সালে যাত্রীদের সুবিধার্থে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৬লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাসস্টান্ডে একটি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু নানা জটিলতা আর দখলদারদের কবলে থাকা যাত্রী ছাউনীর জমি নিয়ে শুরু হয় তালবাহনা । অবশেষে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী ছাউনী নির্মাণ কাজ । সেই থেকে এ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখিনি যাত্রী ছাউনী।

এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ জীবননগর শহরে যাত্রী ছাউনী না থাকায় রোদ, বৃষ্টির সময় বাসের অপেক্ষায় বিভিন্ন দোকানের সামনে দাড়াতে হয়। অনেক দোকানদাররা বাজে ব্যবহার করলেও নিরবে তা সহ্য করতে হয় ।
তাছাড়া জেলা পরিষদ থেকে যাত্রী ছাউনী নির্মানের জন্য যে টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে সেই টাকা দিয়ে যদি যাত্রী ছাউনীটা নির্মাণ করা হত তা হলে যাত্রীদের অনেক উপকার হতো।

এদিকে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় সুধী ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদ থেকে অর্থ দিয়ে জীবননগর শহরে যে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিলো তা একটা মহতী উদ্যোগ । কিন্তু স্থানীয় কিছু ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের সার্থে আঘাত হানার ফলে এবং বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনকে সামনে নিয়ে যাত্রী ছাউনীর পিছনে সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করে বসে থাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ না করার জন্য বাধা দিলে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের কাজটি এক সময়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু সেই বন্ধে এটা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল।
গত দুই বছর পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি যাত্রী ছাউনীর যার ফলে স্থানীয় সুধী ও সচেতন মহলের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, যে স্থানে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি জেলা পরিষদের জমি তা ছাড়া মেইন শহরে বেশির ভাগ জমি জেলা পরিষদ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের। এ সমস্থ জমিগুলো স্থানীয় ক্ষমতাশীন দলের কিছু প্রভাবশালী নেতারা দখল করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে। এ কারনে ব্যবসায়ীরা জমি দখল করতে করতে প্রায় রাস্তার উপর চলে এসেছে।

আর এ সমস্থ জমি দখল করার ফলে ক্রমন্নয়ে রাস্তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জনসাধারণের পথচলাচলে ব্যাপক সমস্যার সম্মসক্ষীণ হতে হচ্ছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস এন্ড রায় ট্রেডার্সের প্রতিনিধি সাগর কুমার বিশ্বাস বলেন, ২০১৭ সালে ৩০শে মে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে জীবননগরে একটি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্ধোধনের পর ভিত ও কাটা হয় কিন্তু জমির জটিলতার কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এ কাজটি করার জন্য আমরা একাধীক বার জেলা পরিষদে গিয়েছি কোন ফল হয়নি যার ফলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি ।

জেলা পরিষদের সদস্য মোসাবুল হক লিটন বলেন, জীবননগর শহরে যাত্রী ছাউনী নির্মাণের জন্য গত দুই বছর আগেই অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়ে ছিলো। কিন্তু নির্দিষ্ট জমি না থাকায় এখানে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া এখানে যে অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিলো সময় মত কাজ না করায় এটি বাতিল হয়ে গেছে ।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, জীবননগর শহরে যাত্রী ছাউনী খুবই জরুরী যেখানে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করার কথা ছিলো এটা অনেক আগে উদ্বোধন হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু যাত্রী ছাউনীর জমির জটিলতার কারনে কাজটি বন্ধ হয়ে আছে । তবে আশা করি খুব দুরত্ব যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা হবে।

এদিকে দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি জমি দখল মুক্ত করে জীবননগরে একটি যাত্রী ছাউনী নির্মানের জন্য উদ্ধতর্ন কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছেন স্থানীয় সুধী, সচেতন মহলও যাত্রীগণ।

-জীবননগর প্রতিনিধি