জীবননগরে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গৃহবধৃকে নির্যাতন

জীবননগরে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গৃহবধৃকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। গত শনিবার বিকালে দর্শনা থানার কুন্দিপুর বেলেমাঠ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত গৃহবধু সাবিনা (২০) দর্শনা থানার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবর গাড়া গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, ২০২১সালের প্রথম দিকে পারিবারিক সিদ্ধান্তের মতামতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাবিনার সঙ্গে দেলোয়ারের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস পর দেলোয়ার একটি দোকান দেওয়ার জন্য সাবিনার ভায়ের নিকট থেকে যৌতুক হিসাবে এক লক্ষ টাকা দাবি করলে তারা সেই দাবি মেনে নিয়ে নগদ এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেয় পরবর্তীতে আবার এক লক্ষ টাকা দাবি করলে সেই টাকা দিতে অপারাগত জানাই সাবিনা সেই থেকে কারনে অকারণে তাকে মারধর করতে থাকে। কিন্তু সাবিনার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তার সমস্থ দায়ভার পড়ে ভায়ের উপর ভায়ের দিকে তাকিয়ে সাবিনা টাকা আনতে রাজি না হওয়ায় তাকে ৫দিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখে এবং খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। এ সংবাদ শুনে সাবিনার ভাই শিপন গত শনিবার দর্শনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাড়ি থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাবিনাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

গৃহবধু সাবিনা অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী দেলোয়র যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে সে টাকা আনতে অপরাগত জানালে তাকে তার স্বামী ও তার ভাই ওসমান মিলে মারধর করে। এবং খাবার না দিয়ে ঘরের মধ্যে ৫দিন যাবৎ আটকিয়ে রাখে।

নির্যাতিত গৃহবধু সাবিনার ভাই শিপন বলেন, বিয়ের সময় তার কোন দাবি ছিল না পরে টাকার জন্য আমার বোনকে মারধর করে বোনের সুখের জন্য আমরা কষ্ঠ করেও তাকে যৌতুক হিসাবে নগদ ১লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আবার সে টাকা দাবি করে টাকা দিতে দেরী হওয়ায় আমার বোনকে খাবার না দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। এ খবর শুনে আমি দর্শনা থানাতে যেয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমার বোনকে সেখান থেকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করি।

দেলোয়ার হোসেন, বলেন আমি কোন টাকা চাইনি এবং তারা ও আমাকে কোন টাকা দেয়নি আমার স্ত্রী প্রায় তার বাবার বাড়িতে চলে যায় আমি নিষেধ করলে সে গলাই দড়ি দিতে যায় আমি তার বাবার বাড়িতে যেতে মানা করা সত্বেও যখন সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন তাকে আমি একটা চড় মেরেছি। তা ছাড়া আমার বিরুদ্ধে যৌতুক নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, সাবিনার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এখন অনেকটাই সে সুস্থ আছে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফর কবির বলেন, যৌতুকের জন্য গৃহবধুকে নির্যাতন করেছে এমন কোন অভিযোগ থানায় এখন কেউ করেনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।