জুলাই ঘোষণা, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দর্শনা থানা শাখার উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বাদ আসর দর্শনায় এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দর্শনা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি রেলবাজার, রেলগেট, পুরাতনবাজার, থানা মোড়, ইসলামবাজার, রেলইয়ার্ড হয়ে রেলবাজারস্থ শহীদ শাহরিয়ার মুক্ত মঞ্চে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। দর্শনা থানা আমির মাওলানা রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. আজিজুর রহমান এবং জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. আব্দুল কাদের।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবু জার গিফারী, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, দর্শনা থানা নায়েবে আমির মাজহারুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, দামুড়হুদা যুব জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক, দর্শনা পৌর আমির মো. সাহিকুল আলম অপু, মদনা ইউনিয়ন আমির হাফেজ শহিদুল ইসলাম, কুড়ুলগাছী ইউনিয়ন আমির সদেকীন, বেগমপুর ইউনিয়ন আমির মোশারফ হোসেন, নেহালপুর ইউনিয়ন আমির লিটন মল্লিক, তিতুদহ ইউনিয়ন আমির মো. রাফিজুল ইসলাম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন আমির মো. ইউনুচ আলীসহ সকল ইউনিয়নের সেক্রেটারি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মো. আজিজুর রহমান পিআর পদ্ধতির ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির বিরোধিতার কারণ হিসেবে ৩টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বলেন, পিআর বাস্তবায়ন হলে মনোনয়ন বাণিজ্য হবে না, ভোটের সময় একবার ভোটারের পা ধরলেও পরবর্তী ৫ বছর ভোটারকে ধরতে হবে এবং পেশিশক্তি প্রদর্শন করে ভোট নেয়ার সুযোগ থাকবে না। এজন্যই তারা বলে, “পিআর খায় না, গায়ে মাখে বুঝি না।” এক সময় তারা জামায়াতের দেয়া কেয়ারটেকার সরকার বুঝত না, পরে আন্দোলনের মুখে বুঝেছিল; এবারও ইনশাল্লাহ বুঝবে।
বিক্ষোভে দর্শনা থানা সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেয়ায় ক্ষণিকের জন্য দর্শনা মিছিলের শহরে পরিণত হয়। পথচারীরা মন্তব্য করেন, বহু বছর পর এত বড় রাজনৈতিক মিছিল দর্শনাবাসী দেখল।