‘জেলহত্যার রায় কার্যকরে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে’

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার রায় কার্যকরে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। জেলহত্যা দিবসে বুধবার সকালে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কারাগারে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেলখানা পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। সে ক্ষেত্রে কীভাবে আইন ভঙ্গ করে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হলো সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। আর পলাতক আসামিদের আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমরা নিজেদের আওতায় আসামিদের পেলে ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেলহত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

জেলহত্যার নিন্দা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীর বিচার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার সামরিক আদালতে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় হয়েছে এবং তাদের ফাঁসি হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে যে শত শত লোককে হত্যা করেছে, সেটিও একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর ফুল দিয়ে জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ, সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমান প্রমুখ।