ফাতেমা সাড়ে ৬ বছরের ছোট্ট একটা ফুটফুটে শিশু। যার হাসি মাখামুখ পিতা মাতাসহ পাড়া প্রতিবেশিদের সব সময় মাতিয়ে রাখে। তার মায়াবি চেহারার দিকে তাকালে দৃষ্টি আটকে যায়।
ঝিনাইদহের শহরের অক্সফোর্ড স্কুলের প্লে-গ্রুপে পড়া ছোট্ট এই মেয়েটির মুখে সব সময় লেগে থাকে। স্বপ্নের মতো তার প্রাণবন্ত হাসি, কিন্তু সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে দুরারোগ্য রোগের সঙ্গে লড়াই করে বেচে থাকার স্বপ্ন। ফাতেমা লড়ছে সেই থ্যালাসেমিয়া রোগের সাথে।
ফাতেমার পিতা ঝিনাইদহ শহরের হামদহ পুর্বপাড়ার রাশেদুল ইসলাম মিলন একজন স্বল্প আয়ের মানুষ। নিজে কিছুই করতে পারেননি, তবে ছেলেমেয়ের সুস্থতার জন্য সংগ্রাম করছেন। পাঁচ বছর ধরে তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য একাই লড়ে যাচ্ছেন। দেশ বিদেশ (ভারত) দৌড়ে পিতা আজ বড়ই ক্লান্ত! তার লড়াই-সংগ্রাম অর্থের অভাবে যেন ক্রমশঃ ছোট হয়ে আসছে।
সাড়ে ৫ বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা চিকিৎসা খরচ করেছেন, কিন্তু তবুও শিশু ফাতেমার পুরোপুরি সুস্থ করতে পারেননি। দিন যতই যাচ্ছে সন্তানের জন্য পিতার লড়াই ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। ১৫ দিন পর পর ফাতেমার রক্ত দিতে হচ্ছে। এ ভাবে চলছে প্রায় সাড়ে ৫ বছর। স্থায়ী সমাধান বোনমেরু প্রতিস্থাপন করা। বোনমেরু জোগাড় হলেও অর্থের অভাবে তা হচ্ছে না।
ফাতেমার চিকিৎসক ভারতের ভ্যালর খ্রিষ্টান মেডিকেল কলেজের হেমোটলজি বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ডাঃ বিক্রম ম্যাথিউস বোনমেরু স্থপনের কথা বলেছেন। কিন্তু টাকা লাগবে অনেক। অনেক বড় অংকের (২১ লাখ) টাকা এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। তার বড় ভাই তামিমের সঙ্গে বোনমেরু প্রতিস্থাপনে রক্তের ম্যাচিং থাকলেও, অর্থের অভাবে তা স্থাপন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ফাতেমার স্বজন রবিউল ইসলাম রবি বালেন, কেবল একজন ফাতেমা নয়, পুরো একটি পরিবারের আশা, সংগ্রাম এবং ভালবাসার গল্পটাই হৃদয়ে গভীর এক স্পন্দন সৃষ্টি করেছে। শিশুর জীবন শুধু তার নিজের নয়, তার চারপাশের সকলেরই।
শিশুটির দাদা আনোয়ার হোসেন জানান, ফাতেমার বুকে মাথা রাখলে মনে হয় সে বলছে “আমাকে বাঁচতে দাও, আমার জন্য কিছু করো।” তার ছোট্ট বুকের মধ্যে এখনো প্রাণের স্পন্দন, অশ্রুতে ভরা নয়, বরং বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছা।
ফাতেমার চিকিৎসার জন্য তার পরিবার আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠাতে পারেন বিকাশ ও নগদ নাম্বারঃ-০১৭২৪-০৫৬৯৯৩, অথবা অগ্রনী ব্যাংক, ঝিনাইদহ শাখা’র হিসাব নং ০২০০০০১৭৫৫৯৮৪।