ঝিনাইদহে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৫০৬ বস্তা অবৈধ মজুদকৃত রাসায়নিক সার কৃষকদের মাঝে সরকারী মূল্যে বিক্রয়ের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গত সোমবার বিকালে এই সার জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে অবৈধ মজুদকারী বিসিআইসি সারের সাব ডিলার নুর জালাল প্রধানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নগদ ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
গত রবিবার সকাল থেকে বৈধ কৃষকদের মাঝে এই সার বিক্রয় করা হয়। গতকাল সোমবার বিকালে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় রাসায়নিক সারের অবৈধ মজুদের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসনে আরা, সদর কৃষি কর্মকর্তা নূর নবী, অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিতে এই সার জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, নুর জালাল প্রধান হলিধানী বাজারের মেসার্স মতিন টেডার্সের সত্ত্বাধিকারী ও বিসিআইসি’র সাব ডিলার। তিনি দীর্ঘদিন ইউনিয়নের মূল ডিলারের কাছ থেকে তার বরাদ্দের সার উত্তোলন করলেও কৃষকদের কাছে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি না করে বিভিন্ন জায়গায় মজুদ করে অবৈধভাবে বেশিদামে কালো বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে তার গোডাউন থেকে ৪৩ বস্তা টিএসপি ও ৪৬৩ বস্তা ডিওপি সার জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হোসনে আরা ২০১৮ সালের কৃষি বিপণন আইনের ১৯ এর দ ধারায় কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টির দায়ে নুর জালাল প্রধানকে নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আরোপ করেন।
ইউএনও হোসনে আরা বলেন, জব্দকৃত সারসমূহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে হলিধানী ইউনিয়ন ও তার পার্শ্ববর্তী সাগান্না এলাকার প্রকৃত কৃষকদের নিকট সরকারি মূল্যে বিক্রয় করা হবে। সেই আদেশ বলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মঙ্গলবার সারাদিন এই সার কৃষকদের মাঝে বিক্রয় করা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রমে কোন ডিলার জড়িত হলে তার ডিলারশিপ বাতিল করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।