
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১২নং নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৩১জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের জন্য কার্ড প্রদানের তালিকায় নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নেতা মহিদুল ইসলাম তার পছন্দের কিছু লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেই অনুযায়ী কার্ড না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২০-২৫ জন অনুসারীসহ পরিষদে হাজির হন।
এ সময় তিনি ইউনিয়ন সচিব হাফিজুর রহমানকে টেনে হিচড়ে পরিষদ থেকে তুলে নিয়ে যান। একই সঙ্গে পরিষদের ভেতরে থাকা সেবাপ্রত্যাশী ও কর্মচারীদের আটকে রেখে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। সচিবকে তুলে নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গেলে সেনাবাহিনী ওই বিএনপি নেতাসহ ৬ জনকে আটক করে। উদ্ধার করা হয় সচিব হাফিজুর রহমানকে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই ঘণ্টা পর তালা ভেঙে ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, পরিষদের তালা দেওয়ার ঘটনায় ৬ জন আটক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ছাব্দার আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক রথিন্দ্রনাথ রায়ের সাথে স্বাক্ষাত করে এধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস বলেন, পরষদে তালা দিয়ে সচিবকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে তারা উপজেলায় আসে। আমি ঘটনা শোনার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারি অফিসে তালা দেওয়ার অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করেছে।