ঝিনাইদহে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঝিনাইদহ জজ আদালতের আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামালকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাই আহমেদ সাদাত কামাল। এঘটনায় অ্যাড.আহমেদ ওয়াসিফ কামাল হুমকী দাতা ভায়ের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার কুমিড়াদহ গ্রামের এবং ঝিনাইদহ আদর্শপাড়া বকুলতলার বাসিন্দা আহমেদ মাসুদ কামালের দুই ছেলে, এককন্যা ও স্ত্রী রেখে তিনি ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর আহমেদ মাসুদ কামালের বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আহমেদ সাদাত কামাল এবং ছোট্র ছেলে আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামালের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় তাঁদের গ্রামের বাড়ির হাটফাজিলপুর বাজারের জমির দলিলের মালিকানা নিয়ে। আইনজীবী বাবা আহমেদ মাসুদ কামাল মৃত্যুর আগে ছোট ছেলে ওয়াসিফ কামাল ও কন্যা দিশা কামাল এই দুই ভাই-বোনের নামে বিপণি বিতানসহ ৮৫ শতক জমি লিখে দিয়ে যান । কিন্তু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডিআর অফিসের মহাফেজখানায় রাখা দলিলের একটি নাম ঘষামাজা দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাই ও আইনজীবি ভাই মহাফেজখানায় রাখা দলিল ঘষামাজা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। আইনজীবী হিসেবে পিতা-পুত্রের যথেষ্ট সুনামও রয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহাফেজখানার রাখা দলিলে ঘষামাজা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোজ নিয়ে যানা গেছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে “তদন্তাধীন” আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞ আইনজীবী আহমেদ ওয়াসিফ কামাল বলেন, “আমাদের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ঢুকে গেছে তৃতীয় পক্ষ। এই তৃতীয় পক্ষই হলেন মামাতো ভাই তুষারদের পরিবার। আমার বিরুদ্ধে, মামাতো ভাইদের ছত্রছায়ায় সমাজে নানা অপবাদ, অপকর্ম, নানা ধরনের সামাজিক হেনস্থ, হুমকিসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেকারনেই আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
আহমেদ ওয়াসিফ কামাল আরো বলেন, “আমাদের পিতা আমার ও আমার বোন এর নামে ২০১৫ সালে একটি দান দলিল করিয়া রাখিয়াছেন। পিতার মৃত্যুর পর বড় ভাই ঐ দান দলিল অস্বীকার করেন। বড় ভাই আহমেদ সাদাত কামাল অর্থ দিয়ে ঐ দান দলিল কে প্রশ্নবিদ্ধ করিবার কুমতলবে তুষার এর সাথে যোগসাজস করিয়া রেজস্ট্রি অফিস এর কর্মচারীদের হাত করিয়া বালাম বই নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে ঘষামাজা করিতে পারেন। যাহাতে ঐ দলিল টি ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বর্তমানে রেজিষ্ট্রি অফিস তাহা তদন্ত করিতেছে। উক্ত ঘটনার তদন্ত কে ভিন্ন রাস্তায় প্রবাহিত করিবার জন্য এবং তাহার প্রকৃত উদ্দেশ্য এড়ানোর জন্য সংবাদ পত্রে মহাফেজখানায় দলিল ঘষামাজার বিষয়ে সাংবাদিক কে মিথ্যা তথ্যদিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করান তারা। যা প্রকৃত ঘটনা ও বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ন ও বিভ্রান্তিকর।
ইতোমধ্যে আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় উক্ত বিষয় উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করিয়াছি। আমার উপর এই হুমকি শুধু একজন আইনজীবীকে নয় পুরা সমাজ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে চুপ থাকা অন্যায়ের সাথে আপোষ।”হুমকির কাছে মাথা নত নয়, আমরা চাই আইনের শাসন এবং ন্যায় বিচার।” মহাফেজখানায় দলিল ঘষামাজার বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। যে কারণে এ বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে আহমেদ সাদাত কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনেটি বন্ধ পাওয়া যায়।