ব্যাংকে গচ্ছিত চেক চুরি করে মামলা ও জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (ডিবিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও সিইও, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, শাখা ব্যবস্থাপকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা হয়েছে।
সম্প্রতি ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের সালিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ইয়াসমিন আক্তার। মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে ঝিনাইদহ সি.আর মামলা নং-৮০৭/২০২৫ হিসেবে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক, ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও, চারজন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং কোটচাঁদপুর উপজেলার আদর্শপাড়ার আবু জাফরের ছেলে আলমগীর হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে ঝিনাইদহ শাখা থেকে ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন ইয়াসমিন আক্তার। ঋণ নেয়ার সময় তিনি জমির দলিল, বিভিন্ন কাগজপত্র ও ৩৭টি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু সম্প্রতি কোটচাঁদপুরের আলমগীর হোসেন ঐ চেকগুলোর একটি ব্যবহার করে আদালতে মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, ইয়াসমিনের স্বামী তার কাছে ৯৭ লাখ টাকা দেন।
বাদীর অভিযোগ, যে চেক ব্যাংকের ভল্টে থাকার কথা, সেটি কীভাবে আলমগীর হোসেনের হাতে গেল তা রহস্যজনক। তার দাবি, ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা আলমগীরের সাথে যোগসাজশ করে চেক চুরি করেছে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে মামলা দায়ের করেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লাল বলেন, “আমার মক্কেলের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। চেক জালিয়াতি ও জাল কাগজপত্র দেখানো হচ্ছে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে এ অপকর্ম করেছে। এজন্য আমরা আদালতে মামলা দায়ের করেছি।”
এ ঘটনায় আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াজিদুর রহমান মামলা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পিবিআইকে। আগামী ৬ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তবে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।