ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বীজ কিনে প্রতারিত কৃষক, ভোক্তাধিকারের হস্তক্ষেপে ফেরত পেলেন ক্ষতিপূরনের টাকা

ঝিনাইদহের অগ্নিবীণা সড়কের হাসান বীজ ভান্ডারে পেঁয়াজের বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন দুইজন কৃষক । ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়েরে ফেরত পেয়েছেন ক্ষতিপূরনের টাকা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মোঃ জামিরুল ইসলাম এবং খোরশেদ আলম গত ৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে হাসান বীজ ভান্ডার থেকে কিং জাতের পেঁয়াজের বীজ ক্রয় করেন কিন্তু বীজ রোপণের পর প্র্রত্যাশিত মাত্রায় বীজ না গজানোর ফলে তাদের মনে সন্দেহ হয় । তখন তারা বীজের কৌটার লেবেল তুলে ফেললে দেখতে পান যে লেবেলের নিচে তাহেরপুরী জাতের অন্য একটি লেবেল লাগানো আছে।

পাশাপাশি কৌটার নিচে এবং লেবেলের গায়ে আলাদা মেয়াদ দেওয়া। পরবর্তীতে তারা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডলের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার হাসান বীজ ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী হাসান আহমেদ উপস্থিত হয়ে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ও স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করায় হাসান বীজ ভান্ডারকে দোষী সাব্যস্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪৫ লঙ্ঘনের অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানার টাকায় অভিযোগকারীর অংশ হিসেবে আরোপিত জরিমানার ২৫% হিসেবে ১২ হাজার ৫ শত টাকা তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান অভিযোগকারীদ্বয়কে বীজের সম্পূর্ণ মূল্য বাবদ ১ লাখ ১২ হাজার ৩ শত টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ভুক্তভোগী কৃষকদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন এবং পণ্য বা সেবা ক্রয়ের সময় প্রতারিত হলে প্রমাণসহ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে সকলকে পরামর্শ দেন।
প্রত্যাশিত প্রতিকার পেয়ে অভিযোগকারীরা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।