
ঝিনাইদহ সদরে বউমার পরকীয়ার জেরে শ্বশুর ইসহাক আলী (৭০) কে হত্যা করা । এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার বেটার বউ ও তার প্রেমিকসহ ২ আসামিকে ১৬ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে মাঠ থেকে হাত-পা ও গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ইসহাক আলীর লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যা মামলার মূল আসামি রওশন আলী ও প্রেমিকা নয়ন তারাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেফতারকৃত রওশন আলী হরিণাকুন্ডু উপজেলার হিঙ্গারপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে এবং নয়ন তারা নিহত ইসহাক আলীর ছেলে মিলনের স্ত্রী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিসুর রহমান জানান, নিহতের ভাই মিক্কাস আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে মূল আসামিকে শনাক্ত করে শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রওশন আলী হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তদন্তে জানা গেছে, নিহত ইসহাক আলীর ছেলে মিলনের স্ত্রীর সঙ্গে রওশন আলীর দীর্ঘদিন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে শ্বশুর ইসহাক আলী বাধা দেয়, ওই সম্পর্ক গোপন রাখতে তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।
এদিকে শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


