
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলাম। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) স্কুল কমিটির সভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে জামায়াতের ৯ জন ও বিএনপির ৬ নেতাকর্মী সহ মোট ১৫ জন আহত হয়।
রক্তমাখা শরীর। তীব্র ব্যাথায় কাতরাচ্ছে সবাই। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কারো মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছে। কেউ ব্যান্ডেজ নিয়ে বসে আছে। এমন সময় একদল মানুষ এসে আহত মানুষগুলোর উপর হামলা চালালো। শুরু হলো ধস্তাধ্বস্তি ও আহত রোগীদের মারধর।
জরুরী বিভাগের মধ্যে এমন দৃশ্য দেখে হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতা সবাই হতবাক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। সেসময় হামলায় আহত রোগীরা আরো আহত হয়ে পড়েন।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলাম। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার স্কুল কমিটির সভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে জামায়াতের ৯ জন ও বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আহত হন। বিএনপির আহতরা হলেন, কানুহরপুর গ্রামের ইমাদুর রহমান, একই গ্রামের মাসুম, গোলাম মোস্তফা, সুমন, রেহানা খাতুন ও মহারাজপুর গ্রামের রহমতুল্লাহ।
জামায়াতের আহতরা হলেন, জহুরুল ইসলাম, হুসাইন, মুজাব আলী, হাফিজুর রহমান, রুপচাঁদ আলী, ফয়জুল্লাহ, সলেমান মন্ডল, তোতা মিয়া ও সফর আলী। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত আহতরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দুই দলের আহত নেতাকর্মীরা আরেকদফায় মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় হাসপাতালে আসা সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হামলার বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াত পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করে জানান, চার মাস আগে স্কুলের কমিটি করা নিয়ে মারামারির সুত্রপাত হয়। একপক্ষ কমিটি মানতে নারাজ। তারাই বৃহস্পতিবার হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ওসি আরো জানান, এখনও থানায় কোন পক্ষ মামলা করেনি। তবে দুই পক্ষ মামলা দিলে তা রেকর্ড করা হবে। এবং বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।