এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী পালনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশের হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কর্মসূচী পালন করে। শিক্ষকদের উপরে হামলার প্রতিবাদে হরিণাকুণ্ডুর সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ, জোড়াদহ কলেজ, প্রিয়নাথ স্কুল এন্ড কলেজ, হাজী আরশাদ আলী কলেজ, মানদিয়া আইডিয়াল কলেজ, পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঘোড়াগাছা লাল মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দখলপুর সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মবিরতিসহ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন পালন করে।
এছাড়া শিক্ষক কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান হরিণাকুণ্ডু আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মুর্শেদ শাহিন।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি আবুল হাসান মাস্টার জানান, এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের জাতীকরণের দাবিতে আমরা গত ৭ অক্টোবর ঢাকাতে একটি প্রোগ্রাম করেছিলাম। সেখানে আমাদের নেতাদের দাবি ছিলো জাতীয়করণের। তবে শিক্ষকদের দাবি নিয়েই যখন আন্দোলন হচ্ছে সেখানে, তাই অনাকাঙ্খি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এই শিক্ষক নেতা।
ঝিনাইদহ সদরের আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহীন রেজা জানান শিক্ষকদের উপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানায় এবং শিক্ষকদের যোক্তিক দাবি বাস্তবায়ন করার জোর দাবি করছি। এছাড়া সদর উপজেলার ঝিনাইদহ কলেজ, উত্তর নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজ, ওয়াজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ, ফজর আলী স্কুল এন্ড কলেজ, কালীগঞ্জের নুর আলী ডিগ্রি কলেজ, শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মিয়া জিন্না আলম ডিগ্রি কলেজসহ জেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিনভর স্কুলে উপস্থিত থেকে কর্মবিরতি পালন করে। জেলার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের উপরে হামলার প্রতিবাতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে। কর্মবিরতি কালে শিক্ষকরা জানান, তিনদফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন না। অনেক ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকদের এই আন্দোলনের সাথে শরিক হন। এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, শিক্ষক কর্মচারীদের উপরে হামলা হলে তারা তো প্রতিবাদ করতেই পারে। এখানে আমাদের কি বলার আছে এ ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে।