পরকীয়ার পরবর্তী সময়ে বিবাহ করে স্ত্রীসহ সন্তানদের নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তানসহ স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।
সোমবার বেলা ১২টার সময় ঝিনাইদহ জেলা প্রেস ইউনিটির কার্যালয়ে ভুক্তভোগী সন্তানসহ স্ত্রী লিখিত অভিযোগপত্র পাঠ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
স্ত্রী সোনিয়া সুলতানা (৩৪), পিতা আসলাম গাজী, মাতা সাজেদা বেগম, গ্রাম আশাশুনি পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড, সাতক্ষীরা।
বিগত ২০১১ সালে গার্মেন্টসে কাজের সন্ধানে ঢাকার আশুলিয়ায় যান। গার্মেন্টসে কাজ করার সময় মানিকগঞ্জের মোঃ রতন শিকদার, পিতা মৃত এলাহী, মাতা খোদেজা-এর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে একই বছরের ১৫ মার্চ সাভারের নবীনগরে স্থানীয় এক কাজী অফিসে গিয়ে আমাদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
বিবাহের পর থেকে আমাদের সংসার জীবন সুখময় কাটতে থাকে। আমরা দুজন গার্মেন্টসে চাকরি করে সেই অর্থ দিয়ে সাভারের তৈয়বপুর গ্রামে, ডাকঘর জিরাবো, ১৩৪১ সাভার, ঢাকায় স্বামীর নামে জমি ক্রয় করে সরল বিশ্বাসে সেখানে একটি বাসা বাড়ি করি। সংসার জীবনে প্রথমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয় মরিয়ম, যার বর্তমান বয়স ১৩ বছর। এরপর দ্বিতীয় পুত্র সন্তান তানজিল, যার বর্তমান বয়স ৯ বছর। তৃতীয় সন্তান মেয়ে জন্মের কয়েক দিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এই সোনার সংসারে বরিশালের জান্নাত নামে এক মেয়ের পরকীয়ায় পড়ে আমার স্বামী রতন শিকদার। পরকীয়ার জেরে সংসারে নেমে আসে আমার ও আমার সন্তানদের উপর নির্যাতনের ইস্টিমরোলার। পরকীয়ার জেরে জান্নাত নামের সেই মেয়েকে বিবাহ করে। বিবাহের পর জান্নাতকে পাঠিয়ে দেয় জর্ডান নামক দেশে। এবার নির্যাতনের তীব্রতা শুরু হয় আরও যন্ত্রণাদায়কভাবে। শেষ পর্যন্ত প্রায় বিবাহযোগ্য মেয়ে ও ছেলেসহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
আমি এখন কোথায় যাব? সারাজীবন কষ্টে অর্জিত অর্থ দিয়ে যে বাড়ি বানিয়েছিলাম স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে, সেটাও আমাকে বঞ্চিত করল আমার স্বামী রতন শিকদার। আমি আমার সেই সোনার সংসার ফিরে পেতে এবং সন্তানদের কল্যাণে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। বর্তমানে আমি ঝিনাইদহ শহরে সন্তানদের নিয়ে মামার বাড়িতে অবস্থান করছি।
কন্যা সন্তান মরিয়মের কাছে জানতে চাইলে ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেন, আমরা পিতার কাছে আমার মাকে নিয়ে আগের মতো করে বাঁচতে চাই। আমরা কী অপরাধ করেছি? আমাদের বাবা-মাকে একসাথে সংসার জীবনে দেখতে চাই।