সনাতনি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজা। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষে গতকাল রবিবারে ষষ্ঠি বোধনের মধ্য দিয়ে পূজা আর্চনার কাজ শুরু হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার মহা বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে উৎসব শেষ হবে।
ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় এবার ৪৫১টি মন্ডপের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায় শারদীয় দূর্গোৎসব পালন করছে। পূজা উপলক্ষ্যে জেলা পুলিশ ও জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট এর পক্ষ থেকে ব্যপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এ বছর ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১০৪টি, শৈলকুপায় ১২১টি, কালীগঞ্জে ৯৭টি, কোটচাঁদপুরে ৫১টি, মহেশপুরে ৪৬টি এবং হরিণাকুন্ডুতে ৩২টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শৃংখলার সাথে এ অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে।
জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার পূজা মন্ডপে নারী-পুরুষ আলাদা প্রবেশদ্বার, মাদকমুক্ত পরিবেশ, মসজিদের পাশে মন্ডপ হলে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে আজান ও নামাজের সময় গান-বাজনা বন্ধ রাখতে হবে এবং পূজা মন্ডপ কেন্দ্রিক কোন মেলার মাঠ বসবে না। এবছর মন্ডপগুলোতে স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে। অন্যবারের মত আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক মন্ডপে থেকে দায়িত্বপালন করবে। তবে পুলিশ গাড়িতে করে প্রতি নিয়ত টহল দিবে মন্ডপে।
ঝিনাইদহ জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের উপপরিচালক (জেলা কমান্ড্যান্ট) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এবার আনসার সদস্যরা টহল টিম হিসাবে (স্বসস্ত্র) কাজ করবে। আমরা দুইটা ভাগে টহল টিমকে ভাগ করেছি। একটি সাধারণ টহল টিম ও অন্যটি কুইক রেসপন্স টিম। এবছর পুজার নিরাপত্তার জন্য জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ১হাজার ২০০ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ৭৯২জন আনসার সদস্য কাজ করছেন। পুলিশও এবার টহল ভিত্তিক কাজ করবে। তবে এবার পূজা উযদাপনে সরকারি বাড়তি নীতি আরোপের কারণে বিগত বছরের তুলনায় বেশি সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ এমনটিই জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ জানিয়েছেন মন্ডপ ভিত্তিক পরিদর্শন করবে পুলিশের কর্মকর্তারা। তাদের গঠিত স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং মন্ডপের নিরাপত্তায় সুরক্ষায় ডাইরেক্টরি এ্যাপস চালু করা হয়েছে। পুজি উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির কোন সুযোগ নেই।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এবার মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া মন্ডপে ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মন্ডপের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দেখভাল করছেন। আশাকরি পুজা সুষ্ঠু এবং উৎসবমূখর পরিবেশে সমাপ্ত হবে।