মংলা বন্দরের সাথে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থয়ানে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বরে একনেক সভায় ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে যশোরের চাচড়া পর্যন্ত ৪৭.৪৮ কিলোমিটার সড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প পাস হয়। সেমসময় উইকেয়ার ফেজ-১: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক (এন-৭) উন্নয়ন প্রকল্প’র প্রাক্কলিত ব্যয় মূল্য ধরা হয় ৪১৮৭.৭০১৭ কোটি টাকা, মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি হতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য। তবে গতকাল রবিবার (১৭ আগস্ট) পর্যন্ত একটি উপজেলারও ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করতে পারেনি ঝিনাইদহ ও যশোরের জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। অধিগ্রহণের তালিকাভুক্তদের নানা অভিযোগ ও আপত্তি উপেক্ষা করেই গত ৮ আগস্ট ভূমির দাম নির্ধারণ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীরা তা প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে। গত ১০ আগস্ট সকালে জেলার কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন থেকে জমির সঠিক মূল্য দাবিসহ ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিক টাকা দাবি, হয়রানি ও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরেও প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে না পারার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে এই সড়কে খানা খন্দে ভরে গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ পিচের উপর ফ্ল্যাট সলিং দিয়ে কোথায় ভাঙ্গা ইট দিয়ে দুই বছরে প্রায় ৪/৫ কোটি টাকার ক্ষুদ্র মেরামত ও সংস্কারের কাজ করেছে। কিন্তু তাতেও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।
তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হওয়া প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৪১৪৭.৭০১৭ কোটি টাকা। মেয়াদ ধরা হয় ২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেসময় ভূমি অধিগ্রহণ ও পূনর্বাসন বাবদ ধরা হয় ৮৮৬.৮৯ কোটি টাকা। পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং ব্যয় মূল্য বৃদ্ধি করে ধরা হয় ৬৬২৬.৭৩ কোটি টাকা। বর্ধিত ব্যয়ে ভূমি অধিগ্রহণ ও পূনর্বাসন বাবদ ধরা হয় ২৬৫০.২৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে মোট ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে ৩৭৩.১৩ একর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর (উইকেয়ার)। ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে যশোরের চাচড়া পর্যন্ত ৪৭.৪৮ কিলোমিটার সড়কটি ৩টি লটে ভাগ করে তত্ত্বাবধায়ন করছে উইকেয়ার। ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দিন সরকারি ডিগ্রি কলেজ গেট পর্যন্ত লট-১(১৫.৯ কিমি), কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দিন সরকারি কলেজ গেট থেকে যশোরের মান্দারতলা পর্যন্ত লট-২(১৫.৮ কিমি) এবং মান্দারতলা থেকে চাচড়া পর্যন্ত লট-৩(১৫.৮ কিমি)। লট-১ এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এলআরবিসি-এমআইএলজেভি ৮৫৪.৭৭ কোটি টাকার চুক্তি মূল্যে কার্যাদেশ পায় ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এএমএলকিউটিসিজিজেভি ৭৩৭.৮১ কোটি টাকা লট-২ ও ৮৯৭.৭৩ কোটি টাকার চুক্তিমূল্যে কার্যাদেশ পান ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ও ১৭ জানুয়ারি।
সড়কে থাকবে একটি ফ্লাইওভার, চারটি সেতু, ৫৫টি কালভার্ট, পাঁচটি ভেহিকুলার ওভারপাস, আটটি পেডিস্ট্রিয়ান ওভারপাস ও একটি রেলওয়ে ওভারপাস। এছাড়াও প্রকল্প করিডোরকে স্মার্ট হাইওয়েতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ডিজাইন করা হবে। পৌর এলাকার মধ্যে ৪ লেন ও পৌর এলাকার বাইরে ৬ লেনে উন্নীত করা হবে রাস্তা।
ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি, ছোট কামারকুণ্ডু থেকে শুরু করে কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়নের শেষ সীমানা পর্যন্ত ভূমি মালিকদের শতশত অভিযোগ ও আপত্তি থাকলেও সেগুলো আমলে না নিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো কাজ করছেন এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
জানাগেছে, এলএ(সাধারণ) ২/২০২২-২৩ ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ও এলএ(সাধারণ) ১/২০২২-২৩ মামলায় কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। লট-১ অঞ্চলে ব্যক্তি মালিকানা জমি রয়েছে ৯১.৮৬ একর, সরকারি সংস্থার ১.৫২ একর, লট-২ অঞ্চলে ব্যক্তি মালিকানা জমি রয়েছে ১৩২.২২ একর এবং লট-৩ অঞ্চলে ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে ৭১.৫৭ একর এবং সেনানিবাসের ৮.০৮ একর জমি রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে জেলা পরিষদের জমি রয়েছে ১৪৫.৪৬ একর। মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের জমির মধ্যে মিল এলাকায় ১.৬৬ শতক, সদর উপজেলার বিষয়খালী মৌজায় ১৩ শতক, কালীগঞ্জের বারোবাজারে ৪৩ শতক, সাত মাইলে ৬৩ শতক জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে। তবে ৩.১৫ শতক জমির মোট ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা গ্রহণের জন্য গত শনিবার সুগার মিলে নোটিশ পাঠিয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। জেলা পরিষদের জমি বাবদ জেলা পরিষদের অনুকূলে টাকা দেওয়া হবে না এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
রবিবার কালীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলাম, আবু জাফর ও মোফাজ্জেল হোসেনসহ প্রায় দুইশতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সঠিক মূল্য চেয়ে মানববন্ধন করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন। তারা ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এক ঘন্টা তারা সড়কে কোন যানবাহন চলাচল করতে দেননি। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, যেই জমির বাজারমূল্য বর্তমানে ২০ থেকে ৩০ লাখ সেখানে সরকার তাদের ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা দিচ্ছে। জমিতে থাকা স্থাপত্যেরও সঠিক মূল্য নির্ধারিত হয়নি। সার্ভেয়ার রিয়াজুল ইসলাম যাদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা পেয়েছেন তাদের জমি ও ভবনের সঠিক শ্রেণিতে দাম নির্ধারিত হয়েছে।
কালীগঞ্জের আড়পাড়ার বাসিন্দা ও শহরের ঝরনা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক আবু জাফর বলেন, আড়পাড়া মৌজার ১৮৫ নং খতিয়ানের ১১.১৫ শতক জমির মধ্যে ৩.১৫ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এই পুরো জমিতে তাদের একটি দ্বিতল ভবন রয়েছে। নিচে প্রিন্টিং প্রেস, দোকান ও উপরে একটি ডিজিটাল ফটোল্যাব রয়েছে। ল্যাবটি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। তিনি বলেন, প্রথম নোটিশ পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় গেলে সার্ভেয়ার রিয়াজুল তাদের জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না বলে তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে তিনি আবারও খোঁজ নিতে যান। তিনি বলেন, আমাদের এই জমি ও ভবন কালীগঞ্জ শহরের টপ পজিশনে অবস্থিত। কিন্তু সার্ভেয়াররা জ্বরাজীর্ণ ভবন ও নিম্ন শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের ঠকিয়েছে। আপত্তি দাখিল করতে গেলেও তারা বিভিন্ন অজুহাতে নেননি। ল্যাবের বিষয়ে রিয়াজুলের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি এমপি আনারের ভয় দেখান। চলতি বছরের ২৬ মে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (৯২৭৪/২০২৫ ) দায়ের করেন আবু জাফরের পরিবার। হাইকোর্টের বিচারক মোঃ আকরাম হোসেন চৌধুরী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসককে আপত্তি গ্রহণের নির্দেশ দিলেও তারা গ্রহণ করেননি।
রবিবার সকালেও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সামনে ২০ থেকে ৩০ জন অভিযোগকারীর সাথে কথা হয়।
কালীগঞ্জের বাদেডীহী গ্রামের আব্দুল মালেক বিশ্বাসের ছেলে জিনাত বলেন, আমার জমির রেট দেচ্ছে মাত্র ৪৫ হাজার টাকা শতক। এই জমি বর্তমানে ২০ লাখের উপরে শতক বিক্রি হচ্ছে। আমরা মাঠের জমি বিক্রি করে ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই জমিতে বিল্ডিং করেছিলাম। সরকার আমার জমি ও বিল্ডিং বাবদ যা দিচ্ছে তা দিয়ে আমার জমির চার ভাগের একভাগও কিনতে পারবো না।
একই গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে রোকনুজ্জামান বলেন, ২০০৫ সালে বিদেশ থাকা অবস্থায় আমি বারোবাজারে ৩ লাখ টাকা শতক যে জমি কিনেছি সেই জমি সরকার এখন ৪৫ হাজার টাকা করে শতক দিতে চাচ্ছে। এই জমির বাজার মূল্য এখন ২০ লাখের উপরে। সরকার আমাকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে।
পিঠাপুকুর গ্রামের ভোলাই বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম বলেন, বাজারের উপরে আমার ২৩ শতক জমি আছে। এই জমিতে পাকা ভবনে ২২টি দোকান নির্মাণ করা রয়েছে। তার মধ্যে ৬ শতক জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে। আমার জমির দাম দিচ্ছে ৫৫ হাজার টাকা শতক ও মার্কেটের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৮ লাখ টাকা।
বাবুল আক্তার নামে একজন জানান, তাদের ২.৯৬ শতক জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে ০.৯০ শতক জমি ডাঙ্গা শ্রেণি দেখানো হয়েছে। আমি ঝিনাইদহ ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আপত্তি দাখিল করলে সরজমিনে তদন্তে আসেন কর্মকর্তারা। তারা সরজমিনে আমাদের ভূল স্বীকার করে সংশোধন করে দিবেন বলে জানালেও তা আর করেননি। আমি সার্ভেয়ার রিয়াজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এলএ (সাধারণ) ১/২০২২-২৩ মামলায় জমির মালিকদের ২০২৩ সালের ২৬ জুন থেকে ভূমি অধিগ্রহণ আইনের ৪এর ১ ধারার নোটিশ দেওয়া শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে নোটিশ দেওয়ার সময় গ্রহণকারীদের তারিখ বিহীন স্বাক্ষর নেওয়া হয়। কয়েক মাস ধরে এই নোটিশ বিতরণ করা হয়েছে এক এনজিওর মাধ্যমে। আইন অনুযায়ী নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আপত্তি দাখিলের নির্দেশ রয়েছে। তারিখ বিহীন স্বাক্ষরের ফাঁদে পড়ে অনেকেই আপত্তি দাখিল করতে গিয়ে জানতে পারেন আপত্তি দাখিলের মেয়াদ নেই।
সার্ভেয়ার রিয়াজুল ইসলামকে যারা অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন তাদের জমি সঠিকভাবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে। ঝিনাইদহ ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের সাথে সখ্যতা থাকায় বেজায় দাপুটে ছিলেন সার্ভেয়ার রিয়াজুল ইসলাম। রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ঘুরলেও তার দাপটের কারণে কেউ সুবিধা করতে পারেনি। রিয়াজুল ইসলাম কালীগঞ্জের ফারিস্ট কোল্ডস্টোরেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পূর্বের ধারণকৃত ভিডিও পরিবর্তন করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রিয়াজুল ইসলাম সাতক্ষীরার নীল ডুমুর এলাকায় বিজিবির একটি প্রকল্পে ১৫ লাখ টাকার ঘুষ কেলেংকারীতে ঝিনাইদহে শাস্তিমূলক বদলি হয়ে আসেন। ঝিনাইদহে এসে সাবেক এমপি আনারের দাপটে কালীগঞ্জ এলাকার ভূমি অধিগ্রহণে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কথা যারা বলছেন তাদের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বর্তমান সময়ে জমি অধিগ্রহণে শ্রেণি পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। সার্ভে করার সময় ম্যাজিস্ট্রেট ছিল। তিনি যেভাবে বলেছেন সেইভাবে লিখেছি।
ঝিনাইদহ ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা আহমেদ সাদাত বলেন, এসব বিষয়ে আমাকে কেউ এখনো জানায়নি বা আমি কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি।
উইকেয়ার ফেজ-১ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ নিলন আলী বলেন, জমি অধিগ্রহণ শেষ করতে না পারায় আমরা কাজ করতে পারছি না। লট-১ অঞ্চলে ৭.২৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে অন্যান্য লটে ২ শতাংশের নিচে। বিদ্যুতের পোল সরানো হয়নি। এই কারণে আমরা রোডস এন্ড হাইওয়ের জমিতেও কাজ করতে পারছি না। অধিগ্রহণ শেষ হলেই আমরা দ্রুত কাজ শেষ করবো।