ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহা সড়কের শৈলকুপা অংশের ২৫ কি.মি রাস্তা যান চলাচলের অনুপযোগী

ঝিনাইদহের খুলনা –কুষ্টিয়ার মহাসড়কের শৈলকুপা অংশের ২৫ কি, মি, রাস্তা এখন সাধারণ মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের অবস্থা এতটাই চলাচলের অযোগ্য যে তাবলারনা। বিশেষ করে শেখপাড়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত সড়কের প্রতি ইঞ্চি তেই খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন হেলে দুলে চলাচল করছে এই মহাসড়ক দিয়ে ।প্রায় দিনই দূর্ঘটনা সহ প্রানহানির ঘটনাও ঘটছে আবার গাড়ি ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে থাকতেও দেখাযায়।কিছুদিন পর পরসড়কের গর্তগুলো খোয়া দিয়ে মেরামত করা হলেও নেই কোন স্থায়ী পদক্ষেপ। কর্তৃপক্ষের উদাসীন তায় দিন দিন সড়ক টি মৃত্যু পুরিতে পরিণত হচ্ছে।সড়ক টি জুড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ী ঠিক মত চলাচল করতে না পারার কারণে রাতে দিনে তীব্র যান জটের সৃষ্টি হচ্ছে।সড়ক জুড়েই শত শত গাড়ীর দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিদিন ঝিনাইদহ থেকে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে যাতায়াত করা শিক্ষক প্রফেসর মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান,সড়কটি যাতায়াত করার মত কোন অবস্থা নেই, জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করি। যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে তাছাড়াও প্রতিদিন ক্যাম্পাস থেকে বাড়িতে ফিরেগা-হাত-পা ব্যাথা হয়ে যায়।তবে জন সাধারণের স্বার্থে অতিদ্রুত সড়কটির স্থায়ী সমাধান দরকার।
খুলনা- কুষ্টিয়া রুটে চলাচল কারী শেখ ট্রাভেল সের মালিক ফিরোজুর রহমান বলেন, খুলনা –কুষ্টিয়া মহাসড়কের অধিকাংশ রাস্তাই খারাপ তবে শৈলকুপার শেখ পাড়াটু ঝিনাইদহ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই খারা পযার ফলে প্রতিদিনই গাড়ীর কোননা কোন যন্ত্রাংশ মেরামত করালা গছে যার জন্য পরিবহন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রাক চালক মোতাহার হেসেন বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করি। অনেক সময় গাড়ীর স্টেয়ারিং ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে যাই।যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বয়েছে।
সি এনজি চালক শেখ পাড়ার আকমল হোসেন বলেন, প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা পর্যনÍ যে ভাড়া মারিতা পরের দিন গাড়ী মেরামত করতে সব টাকা ফুড়িয়ে যায়। আমরা এ রাস্তার সংস্কার সহ স্থায়ী সমাধান চাই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন,ইতি মধ্যে ৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে,প্রক্রিয়া শেষে আশা করি এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।