ঝিনাইদহ – চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কটি যেন মৃত্যু ফাঁদ!

ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি মহাসড়ক। মহাসড়কটির বেশীরভাগ স্থান-ই ছোট-বড় গর্তে পরিপূর্ণ, প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। মহাসড়কটির ডাকবাংলা ত্রিমোহনী অংশে রাস্তার মাঝখানে উড়ছে লাল পতাকা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এখানে বিপদ!

ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের উত্তর নারায়নপুর ত্রিমোহনী থেকে শুরু করে ডাকবাংলা বাজার পর্যন্ত রাস্তায় বিশাল আকারের বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। তার মধ্যে উত্তর নারায়নপুর ত্রিমোহনী ইসলামি হাসপাতাল সংলগ্ন বকুল মেটাল ও লিটন স্টিল হাউজের সামনের গর্তটি সবচেয়ে ভয়াবহ! এখানে প্রতিদিন কোনো না কোনো ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাই সাধারণ পথচারীদের সাবধানতার জন্যই এই পতাকা উড়িয়েছেন স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ও ৩ নং সাগান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মোঃ শাহীন রেজা সাঈদ বলেন, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। রাস্তাটি দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান সহ সম্পূর্ণ বাংলাদেশেই যাতায়াত করা যায় এবং এটি মুজিবনগর যাওয়ার অন্যতম একটি রাস্তা। রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

পথচারী মোঃ রিপন মিয়া বলেন, প্রতিদিনই এখানে দূর্ঘটনা ঘটে এবং প্রায়ই মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান।
ট্রাক ড্রাইভার মোঃ সদা বলেন, মালবাহী গাড়ীগুলো যাওয়ার সময় তাদের বেশী সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হায়দার যার মোবাইল নং ০১৭৩০-৭৮২৭৭০ এ কয়েক বার যোগাযোগ করা হলে, প্রতিবারই তিনি মিটিং এ আছেন বলে এই বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।

পরবর্তীতে উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ গোলাম সারোয়ার-এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য ঝিনাইদহের কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন পথচারীগণ।