ডেটা শেয়ারিংয়ের পাঁচ প্ল্যাটফরম

প্রযুক্তি আধুনিকায়নে স্মার্ট ডিভাইসে যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন অ্যাপ্লিকেশন। শেয়ারিং অ্যাপের সংযোজন এর মধ্যে অন্যতম। তবে বর্তমান সময়ে এসেও একটি আদর্শ শেয়ারিং অ্যাপ খুঁজে বের করা চাট্টিখানি কথা নয়। ফলে প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয় অনেককে। আজকের আয়োজনে কয়েকটি ডেটা শেয়ারিং অ্যাপ নিয়ে লিখেছেন- তানভীর তানিম

শেয়ারইট

৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোড হওয়া শেয়ারইট ফটো, ভিডিও, অ্যাপসসহ যে কোনো ফরম্যাটের ফাইল শেয়ারের উপযোগী একটি অ্যাপ। এটি ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ফাইল ট্রান্সফার করে। একবার দুটি ডিভাইস সংযুক্ত হয়ে গেলে, শেয়ারের উপযোগী ফাইলগুলো আপনা-আপনি প্রদর্শিত হয়। ফলে সেন্ডারের অনুমোদন ছাড়াই রিসিভাররা তাদের প্রয়োজনীয় ফাইল পছন্দ করতে পারে।

শেয়ারইটে ২০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতিতে ফাইল শেয়ার করা যায়। এর ক্লোনইট ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে সেন্ডারের ডিভাইসের ডাটা কপি করা সম্ভব। অ্যাপটি পিসিতেও ব্যবহারের উপযোগী। এর পিসি ভার্সন ব্যবহার করে এক পিসি থেকে অন্য পিসিতে বিনামূল্যে ফাইল শেয়ার করা যায়। তবে অ্যাপটিতে থাকা অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে।

প্লে স্টোর রেটিং-৪.২, আকার-২৭ মেগাবাইট, অ্যাপ ইন্সটল-এক বিলিয়নেরও বেশি।

ইজি জয়েন

আপনি যদি ক্রস-ডিভাইস ফাইল শেয়ারিং অ্যাপ খুঁজে থাকেন, তবে ইজি জয়েন হবে আপনার প্রথম পছন্দ। ফাইল ও বড় ধরনের ফোল্ডার শেয়ার করা ছাড়াও এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা একে অপরকে ক্ষুদ্র বার্তা পাঠাতে পারে।

শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে অফলাইনে অর্থাৎ স্থানীয় নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে ফাইল শেয়ার করা যায়। ফলে ব্যবহারকারীকে কোনো ধরনের বাহ্যিক সার্ভারের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয় না। অ্যাপটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর নিরাপত্তাব্যবস্থা। যা খুবই শক্তিশালী। তা ছাড়া ফাইল শেয়ার করার সময় এটি অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপশন অনুসরণ করে। এ কারণে কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা গোপন ট্র্যাকিং ব্যবস্থার ঝুট-ঝামেলা থাকে না।

ইজি-জয়েনের আরেকটি চমৎপ্রদ বৈশিষ্ট্য হলো অটো-সাইংক ক্লিপবোর্ড। অর্থাৎ দ্রুত সময়ে অ্যান্ড্রয়েড এবং পিসির মধ্যে লিঙ্ক শেয়ার করা যায়।

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যবহার উপযোগী এ ফাইল-শেয়ারিং অ্যাপটি এক্সডিএ ল্যাবে বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও এর প্রিমিয়াম সংস্করণ ১৪.৯৯ ডলারে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। প্লে স্টোর রেটিং-৪.৭, আকার-১৯ মেগাবাইট, অ্যাপ ইনস্টল-১০০ মিলিয়নেরও বেশি।

পোর্টাল

পোর্টালের মাধ্যমে যে কোনো ফাইলকে পৃথকভাবে, সম্পূর্ণভাবে এমনকি পুরো ফোল্ডার একসঙ্গে শেয়ার করা যায়। অ্যাপটি ফাইল শেয়ার করার জন্য ওয়াইফাই ডাইরেক্ট ব্যবহার করে। তাই সেন্ডার এবং রিসিভার কাউকেই একই স্থানীয় নেটওয়ার্কে থাকার প্রয়োজন নেই।

অন্যান্য ফাইল শেয়ারিং অ্যাপের মতো পোর্টালে পিসিতে ফাইল শেয়ারের জন্য আলাদা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না।

প্লে স্টোর রেটিং-৪.১, অ্যাপ ইনস্টল-এক মিলিয়নেরও বেশি

সুপারবিম

সুপারবিম একটি দ্রুত ফাইল শেয়ারিং অ্যাপ। এটিও ফাইল শেয়ার করার জন্য ওয়াইফাই ডাইরেক্ট ব্যবহার করে। অ্যাপটির মাধ্যমে তিনটি উপায়ে ফাইল শেয়ার করা সম্ভব; কিউআর (QR) কোড স্ক্যান করে, এনএফসি (NFC)-এর মাধ্যমে এবং একটি পাসওয়ার্ড কী প্রবেশ করিয়ে।

প্লে স্টোর রেটিং-৪.২, আকার-১৩ মেগাবাইট, অ্যাপ ইনস্টল-১০ মিলিয়নেরও বেশি।

এয়ারড্রয়েড

এয়ারড্রয়েড অ্যান্ড্রয়েডকে পিসির সঙ্গে তারবিহীন অবস্থায় যুক্ত করে। এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড থেকে পিসিতে ফাইল স্থানান্তর করা যায়। আর এটি সম্ভব হয় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। পিসি থেকে এয়ারড্রয়েড ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অ্যাপটির বিনামূল্যের সংস্করণে সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাড়তি কিছু ফিচার আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কিনে নিতে পারবেন।

প্লে স্টোর রেটিং-৪.৩, আকার-৪৫ মেগাবাইট, অ্যাপ ইনস্টল-দশ মিলিয়নেরও বেশি।