ঢেঁড়স চাষে স্বচ্ছলতা এসেছে সোহেলের

ঢেঁড়স চাষ করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তিনি এখন মুক্ত।

সোহেল রানা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের গৌড়দহ এলাকার মীর আবুল কাশেমের ছেলে।

স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আরও অনেকেই ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, সে নিজেই মাঠে ঢেঁড়স উত্তোলন করছে। আলাপকালে সোহেল জানান, ২০১৪ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর গাজীপুরে হেলথ কেয়ারে চাকরি করতেন। পরে তার
বাবা অসুস্থ হওয়ায় ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন। এরপর আর ভালো কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়ীর পাশে অন্যের জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন ফলজ বাগান ও সবজি চাষ। তিনি এক বিঘা পেয়ারা বাগানের পাশাপাশি আরও এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন ঢেঁড়সের চাষ। স্বল্প সময়ে এই ঢেড়শ চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, এখানকার মাটি বেশ উর্বর থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়েছে। তার এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষ করতে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। একদিন পরপর মাঠ থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করতে হয়। এতে তেমন কোন শ্রমিক (লেবার) দরকার হয় না। মাঠ থেকেই পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে কিনে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভালো থাকায় বেশ লাভবানও হয়েছি। আর এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমণও কম থাকার ফলে খরচও কম হয়েছে।’

বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, শিক্ষিত সোহেল রানা আমাদের আইডল। তার মতো শিক্ষিতদের এই কৃষি সেক্টরে আরো এগিয়ে আসা উচিৎ।

এ ব্যপারে মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভালো। এটা চাষ করা লাভজনক।’ তবে তার মতো শিক্ষিত অনেক যুবকরাই এগিয়ে আসছে। আমরা কৃষি অফিস তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগীতা করবো।