এ সপ্তাহে তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আলোচিত শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মিন্টু। “নারী সহকর্মীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ডেপুটেশনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার খায়েশ মিন্টুর শিরোনামে মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠণ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা. হাফিজুর রহমানকে।
জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের এস এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মিন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। শফিকুল ইসলাম মিন্টু বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মেহেরপুর সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি এবং প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম মিন্টু নিয়মিত স্কুল না উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে বেশি সময় কাটান এবং বিভিন্ন বিষয়ে দালালি করেন। তিনি একটি কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী। বেলতলা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন নিয়ে জোর করে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও সরকারি বিধি অনুযায়ী ডেপুটেশনপ্রাপ্ত শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার বিধান নেই।
কিন্তু তিনি শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সুপারিশ নিয়ে ডেপুটেশন নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্ব না পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একজন নারী হয়েও তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন যা চাকরিবিধি ও শিষ্টাচারবহির্ভুত। এবং তিনি সরাসরি একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারি বলে নিজেকে বিভিন্ন স্থানে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ ধরণের একজন শিক্ষকের কাছে থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা গ্রহণ করবেন সে নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং শিক্ষক সমাজকে অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা করাচ্ছেন ওই শিক্ষক।
তদন্ত কমিটির প্রধান মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা. হাফিজুর রহমান বলেন, এ সপ্তাহেই নতুন করে করে তদন্তের জন্য চিঠি ইস্যূ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, এ সপ্তাহের রবিবারেই আমি তদন্তকর্মকর্তাকে তাগাদা দেবো যাতে দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেন।