তামাকজাত দ্রব্যের সুর্নিদিষ্ট কর কাঠামোর দাবীতে অনলাইন মানববন্ধন

করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে ও জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ করার দাবীতে অনলাইন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে এই অনলাইন মানববন্ধন শুরু হয়। সারাদেশের শতাধিক তামাক নিয়ন্ত্রণে র্কাযরত সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এই মানববন্ধনে ‘তামাকজাত দ্রব্যের উপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের দাবী’ জানান।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)’র ও এইড ফাউন্ডেশন উদ্দ্যোগে এবং দ্যা ইউনিয়নের সহযোগীতায় এই অনলাইন মানববন্ধনে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল, আশ্রয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সিয়াম, সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, মৌমাছি, সাফ, কেএনকেএস, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস), সুরঙ্গন সাংস্কৃতিক একাডেমি, গাংনী থিয়েটারসহ সারাদেশ থেকে বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহন করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এর মাধ্যমে বাংলাদেশে এই প্রথম অনলাইন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহনকারীরা একটি সময়োপযোগী তামাক-কর ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের জন্য “কোভিড-১৯ এর আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে করারোপ চাই” “তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট কর, জীবন বাচাঁবে বাড়াবে রাজস্ব”-“জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে করারোপ চাই”- এসকল শ্লোগান লেখা লিফলেট হাতে নিয়ে নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবী পোস্ট করেন।

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সারাদেশের সকল কাজের স্থবিরতার মধ্যেও আগামী অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তামাক বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণের কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি করতে এই অনলাইন মানববন্ধন।
এনবিআর প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থে তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের কথা বলা হয়েছে।

তামাক জাত দ্রব্যের ওপর সুনিদিষ্ট কর আরোপ হলে প্রায় ২০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত হবে। সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ চলতি অর্থবছরে চেয়ে ৪ হাজার ১০০ কোটি থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বেশি রাজস্ব আয় হবে। যার হার বিড়ি ও সিগারেট থেকে প্রাপ্ত বর্তমান রাজস্বের চেয়ে অন্তত ১৪% বেশি।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর দাবী করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে ও জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ করা হোক। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), এইড ফাউন্ডেশনসহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক নেতৃবৃন্দ এ মানববন্ধনে অংশ নেন।